
দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
তিনি বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করতে হবে, যাতে তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।”
আজ শনিবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে আয়োজিত এক সংবর্ধনার জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একথা বলেন।
ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এবং এলামনাই এসোসিয়েশন যৌথভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে আমরা যা ভাবছি তা তিনি অনেক আগেই শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত দৃষ্টির ফলে অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। দেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এই সুখবর খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় যেসব প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে সেসব মাছ হ্যাচারিতে এনে প্রজনন বৃদ্ধির কৌশল বের করতে হবে। তিনি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও তা টেকসই রাখা এবং এ খাতের সমস্যা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে নিবেদিতভাবে কাজ করার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রাজুয়েট এবং শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এবং এফএমআরটি ডিসিপ্লিন ও এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে পৃথক দুইটি ক্রেস্ট উপহার দেন উপাচার্য।
ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, এফএমআরটি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইফতেখারুল আলম, সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক শেখ তারেক আরাফাত।
পরে মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন মন্দির পরিদর্শন করেন।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: