ঢাকা | রবিবার, ২ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দেশের ১৫টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য অবদান রাখছে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২৩:৩৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২৩:৩৬

সোসাইটি অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন, বাংলাদেশ আয়োজিত ২৩তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, খুলনাসহ দেশের ১৫টি নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার (পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র) স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য অবদান রাখছে।

এর মধ্যে সাতটি কেন্দ্রকে আধুনিক কেন্দ্র হিসেবে রূপ দিতে ইতোমধ্যেই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পরে অবশিষ্ট সাতটিও আধুনিকায়নের পর নতুন করে আরও সাতটি পরমাণু কেন্দ্র করা হবে।

যা দেশের স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা, থাইরয়েডের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রেডিওনিউক্লিয়ার ইমেজিং, রেডিওএ্যাকটিভ, আয়োডিন আপটেক টেষ্ট, আল্ট্রাসনোগ্রাফী, কালার ডপলার আল্ট্রাসাউন্ডসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে।

এক কথায় স্বল্পমূল্যে কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে দেশের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যা সায়েন্স বা পরমাণু কেন্দ্রগুলো।


শুক্রবার সকালে নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ অনুষ্ঠিত এ জাতীয় সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের চিকিৎসকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর। সোসাইটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: রায়হান হুসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাফর সাদিক ও খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল আহাদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন, সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা: সানোয়ার হোসাইন।

বক্তৃতা করেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা: পুশান ভদ্রাজ, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এম এ করিম, সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা: ফারিয়া নাসরিন, খুলনা পরমানু কেন্দ্রের পরিচালক ও সোসাইটির স্থানীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ডা: অশোক কুমার পাল এবং মিটফোর্ডএর সহযোগী অধ্যাপক ডা: জামিউল হোসাইন।


সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা এখন জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে দেশের ১৫টি পরমাণু কেন্দ্রই এখন দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা, বিজ্ঞান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই পরমাণু শক্তি কমিশন বেশ ভূমিকা রাখছে, যা বহি:বিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে।


চিকিৎসকরা বলেন, নিউক্লিয়ার মেডিসিন বা পরমাণু কেন্দ্র ছাড়া সঠিক রোগ নির্ণয় অনেকটা দুরূহ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি একটি বিশাল অবদান উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পরমাণু কেন্দ্রগুলো কখনও বন্ধ হলেই এর গুরুত্ব অনুধাবন করা যাবে।

সুতরাং দেশের স্বাস্থ্যসেবায় একটি বিশাল ভূমিকা পালনকারী পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েরও সহযোগিতা দরকার বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।-খবর বাসসের



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: