
- বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণাকারী হোটেলকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেবে সরকার।
উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, সন্তানদেরকে নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পলিথিন সস্তা না, এর বিনিময়ে আমাদের কঠিন মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে, ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের বা চটের ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে কক্সবাজারস্থ সকল হোটেল মালিকের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সভায় তিনি সমুদ্র তট ও আশপাশের এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেন এবং তা বন্ধে হোটেল মালিকদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, আদালত উপকূলীয় জেলাগুলোতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন অগ্রগতি মনিটরিং করার জন্য নিয়মিত হোটেলে লোক পাঠানোর জন্য ডিসিকে নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে মিলে ওয়ার্ক প্ল্যান প্রস্তুত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত হলেও, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। প্লাস্টিক দূষণ শুধু প্রকৃতিকে নয়, পর্যটনকেও হুমকির মুখে ফেলছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে কক্সবাজার একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে পারে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, হোটেল মালিকদের প্রতিনিধি ছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে গৃহীত নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং হোটেল মালিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন প্লাস্টিকের দূষণ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন। তিনি জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে কক্সবাজারের ৫০০ হোটেল ও ৩০০ হোটেলে বাস্তবায়ন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক করার উদ্যোগের কথা জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: