ঢাকা | সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নজরুলের সাহিত্যকর্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং ঐক্যবদ্ধ হতে শেখায় : ঢাবি উপাচার্য

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫ ১৯:৩২

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫ ১৯:৩২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্যকর্ম থেকে শিক্ষা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার শিক্ষা দেয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর হতে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ (রোববার) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, নজরুলকে বুঝতে এবং তাঁর সাহিত্যের গভীরতা অনুধাবন করতে হলে একজন সত্যিকারের মানুষ হতে হবে। তিনি সাম্যের কবি, বিদ্রোহের কবি, প্রেমের কবি, শান্তির কবি ও সব্যসাচী কবি। আর ব্যক্তি জীবনেও তিনি বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন। তাঁর এই বহুমাত্রিকতা যুগে যুগে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর নামে একটি হলের নামকরণের বিষয়টি আমরা আন্তরিকভাবে বিবেচনায় রেখেছি।

স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ‘চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন।

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা আজ সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হন এবং শোভাযাত্রা সহকারে কবি’র সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: