
বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদশে সংবাদমাধ্যমের দমবন্ধকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হলেন বিশ্বব্যপী সমাধিত,প্রথম ও একমাত্র আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং যুক্তরাষ্ট্র বসবাসকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ,বুদ্ধিজীবী-সহ সুশীল সমাজ।খবর বাপসনিউজ ।
বাংলাদেশে শতাধিক সাংবাদিক জেলে। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন হাজারের বেশি সাংবাদিক-সম্পাদক। উপদেষ্টা, ক্ষমতাবান নেতাকে অপছন্দের প্রশ্ন করলে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। মব তৈরি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেলের অফিস। দেশে সংবাদমাধ্যমের দমবন্ধকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হলেন বিশ্বের নানাপ্রান্তে বসবাসকারী বহু বাংলাদেশি সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ,বুদ্ধিজীবী-সহ সুশীল সমাজ ।
এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, আমরা প্রবাসী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক-গবেষক, সংস্কৃতি ও অধিকার কর্মীরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, প্রিয় স্বদেশে আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ,লেখক, সাহিত্যিক ও গবেষকদের উপরে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। একই সঙ্গে আজকের বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমেও মতপ্রকাশের নানারকম লিখিত ও অলিখিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাক্স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য পদক্ষেপ। আমরা প্রবাসে বসবাস করলেও বরাবরের মতোই দেশের ভালোমন্দ নিয়ে উৎকণ্ঠিত থাকি। সে কারণে দেশের অমঙ্গলের সমালোচনা ও প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকেরা বলেছেন, লবি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে শান্তিতে নোবেলজয়ী মোল্লা ড.মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক সাংবাদিক নির্যাতন চলছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিগত ১১ মাসে অন্তত ৪১২ জন সাংবাদিককে হত্যা মামলাসহ হয়রানিমূলক নানারকম মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তিন শতাধিক সাংবাদিকের ওপর। শতাধিক সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ। হেনস্তামূলক দুর্নীতির মামলা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমশিনে। ঢাকাসহ সারা দেশের সহস্রাধিক সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি, ১৬৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো থেকে ১০১ জন সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত, বাতিল ও বহিষ্কার এবং মিডিয়া দখলের মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে ১০ জন সাংবাদিক নিহত এবং অগণিত সাংবাদিক আহত হলেও সরকারের তরফ থেকে আক্রান্ত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের প্রতি কোনো সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয়নি, বরং নির্যাতনের কালো হাতের সম্প্রসারণ ঘটেছে। পত্রিকা অফিসের সামনে মব সৃষ্টি করে ‘জেয়াফত’-এর মতো বে-নজির ঘটনাও দেখেছে দেশবাসী। যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেও সম্ভবত বিরল ঘটনা। এসব নির্যাতন ও নিপীড়নের ফলে অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবার অবর্ণনীয় মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কষ্ট ভোগ করছে এবং মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বলাবাহুল্য, উল্লেখিত সংখ্যাগুলো প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন, আমরা মনে করি এসব নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড মূলত বাক্স্বাধীনতাকে হরণ করছে, যার ফলে সর্বত্র দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমনকি, এসব ঢালাও মামলা ও চাকরিচ্যুতিসহ অন্যান্য নির্যাতনমূলক ঘটনার প্রতিকারে সরকারের তরফ থেকে কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি, বরং উল্টোটাই দেখা গেছে। এতে আমাদের সন্দেহ জেগেছে যে, খোদ সরকারই নির্যাতন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। বাংলাদেশে এখন একটি অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এবং লবিং এবং দুর্নীতির মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন ব্যক্তি সরকারপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। তা ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও অতীতে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। অথচ আজকে তাদের হাতেই সাংবাদিক নির্যাতন ও বাক্স্বাধীনতা হরণের ঘটনা ঘটছে, যা আমাদেরকে হতাশ ও আহত করেছে।
আমাদের ভূখণ্ডের ইতিহাসে সাংবাদিকদের ওপরে এমন নির্যাতন-নিপীড়ন, চাকরিচ্যুতি ও গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ ও কলম থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা অতীতে ঘটেনি। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোথাও ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা সাংবাদিকদের ওপর নজিরবিহীন নির্যাতন ও বাক্স্বাধীনতা হরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে সম্মতি প্রদানকারী সাংবাদিকদের একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবাসী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক-গবেষক, সংস্কৃতি ও অধিকার কর্মীবৃন্দ হলেন নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও কলামিস্ট এমএ সালাম,সভাপতি ও বাপসনিউজ এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আরিফুর রহমান আরিফ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মানবাধিকার নেতা ক্যাপটেন(অবসরপ্রাপ্ত)আবু বকর,বীর মুক্তিযোদ্ধা,মানবাধিকার নেতা ও কলামিস্ট প্রদিপ রজ্ঞন কর,মানবাধিকার নেতা রমেশ নাথ,মানবাধিকার কর্মী ও নারীনেএী আইরিন পারভীন,মানবাধিকার নেতা ,লেখক ও প্রেকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,মানবাধিকার নেতা ও এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী,মানবাধিকার নেতা ও লেখক এমএ করিম জাহাঙ্গীর,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হুসাইন,বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল খান আনসারী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক সাংবাদিক খুরশিদ আনোয়ার বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক সাঈদুর রহমান সাঈদ,মানবাধিকার নেতা এম শাহজাহান বাবলু,মানবাধিকার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জলিল,ভূতত্ত্ববিদ ও মানবাধিকার নেয়া গিয়াসঊদদীন,মানবাধিকার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা টি.মোল্লা,আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,কবি ও কলামিস্ট এবিএম সালেহ উদ্দিন,এনজেবিডিনিউজ এডিটর ও সাংবাদিক মোঃনাসির,বিবিএন সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও সাংবাদিক ওসমান গণি,সম্পাদক ও সাংবাদিক সুবাস বডুয়া,সহযোগী সম্পাদক ও সাংবাদিক এবং প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ সাহা,কবি শেলী ভৌমিক,আইবিএননিউজ ২৪.কম সম্পাদক আয়েশা আক্তার রুবি,মানবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রী রুমানা আক্তার,মানবাধিকার নেতা কায়কোবাদ খান, মানবাধিকার নেতা ও লেখক আকতার হোসেন,মানবাধিকার নেতা আসাফ মাসুক, নেতা শাহাদত হোসেন,মানবাধিকার নেতা কামাল হোসেন,,মানবাধিকার নেতা হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী,মানবাধিকার নেতা জিল্লুল করিম, মানবাধিকার নেতা ও লেখক ফিরোজ মাহমুদ,মানবাধিকার নেতা ও সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, মানবাধিকার নেতা প্রকৌশলী এবিএম মিজানুল হাসান,মানবাধিকার কর্মী দেলওয়ার হোসেন মোল্লা,কালের সংবাদ.কম সম্পাদক ও সাংবাদিক সোহেল চৌধুরী,মানবাধিকার নেতা শহীদুল ইসলাম,মানবাধিকার নেতা জুয়েল আহমেদ,শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী,মানবাধিকার কর্মী মিজানুর রহমান চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী একে চৌধুরী,কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক,গবেষক, শিক্ষাবিদ,সাংবাদিক, সাহিত্যিক,সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং অ্যাক্টিভিস্ট মহল ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন,
বাপসনিউজঃ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: