ঢাকা | শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি, ইবিতে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৫

ইবি প্রতিনিধি:

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ‘শহীদ আবু সাঈদ আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি'র ১১৬ নং কক্ষে দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তঃবিভাগ বিতর্কের শুরু হয়। এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ টি বিভাগের বিতার্কিকেরা অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ২ আগস্ট প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।

বিতর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, পঙ্কজ রায়, গোলাম রাব্বানী ও আইইউডিএস এর সদস্য-সচিব দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।

বিচারক হিসেবে ছিলেন বিটিভি বিতর্ক প্রতিযোগিতা নির্দেশক নাজমুল হুদা আজাদ, সাবেক টিভি বিতার্কিক মো. খালিদ হাসান, শহীদ শামসুজ্জোহা হল বিতর্ক সংসদের (রাবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিক আজমিম মাহমুদ, আইইউডিএস'র সাবেক আহ্বায়ক টিভি বিতার্কিক নোমান ইবনে বাশার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, শহীদ আবু সাঈদের নামের আমাদের এ ডিবেট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মৃত্যুতে জুলাইয়ে নতুন মোড় নিয়েছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার আমরা শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এতে মোট ২২ বিভাগ অংশগ্রহণ করছে।নকআউট নিয়মে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টিশীলতার যায়গা, জ্ঞান বিজ্ঞান বিকাশের জায়গা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা আরও বেশি আয়োজন করা দরকার। অনেকদিন পর হলেও জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে আমরা এমন একটা আয়োজন শুরু করতে পেরেছি।ইনশাআল্লাহ সামনে এমন বিতর্ক আরও হবে।
এই বিতর্কের মাধ্যমে যার যার মতামত, যুক্তি তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে একটা সহমর্মিতার সুযোগ তৈরি হবে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হবে এবং সবাই মিলে একটা শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে পারবো এটাই প্রত্যাশা।


মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: