
জিটিওকে সাক্ষাৎকার (চতুর্থ অংশ)
ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময়, নিউইয়র্কে ডিজিটাল মাধ্যম জিটিও’র সাংবাদিক মেহদি হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র আন্দোলন, আওয়ামী লীগের স্থগিত কার্যক্রম এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দিয়েছেন।
⸻
মেহদি হাসান: ছাত্র আন্দোলন এবং রক্তপাতের ঘটনা উল্লেখ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আপনার সরকার কেন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে?
অধ্যাপক ইউনূস: ছাত্ররা অনেক আত্মত্যাগ করেছে। তাদের রক্তবর্ণ, জনগণের ক্ষোভ এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মেহদি হাসান: নির্বাচনে এই স্থগিতাদেশের প্রভাব কি দীর্ঘমেয়াদি হবে?
অধ্যাপক ইউনূস: স্থগিতাদেশ প্রয়োগ কেবল বর্তমানে। দলটি এখনও বৈধ। পরিস্থিতি ভেবে যেকোনো সময় কার্যক্রম পুনরায় চালু করা যেতে পারে।
মেহদি হাসান: তবে এটি কি এমন একটি সংকট সৃষ্টি করছে যেখানে মানুষ মনে করতে পারে, নতুন সরকার পুরোনো সরকারের ওপর দমন চালাচ্ছে?
অধ্যাপক ইউনূস: এমনটি নয়। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু রাখতে কাজ করছি। যারা মানুষ হত্যা করেছে, তারা কোনো অনুশোচনা দেখায়নি। তাদের আচরণ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারত। এই কারণে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেহদি হাসান: তবে ভোটাররা কি বৈধভাবে ভোট দিতে পারবে?
অধ্যাপক ইউনূস: হ্যাঁ, তারা ভোট দিতে পারবে। শুধু আওয়ামী লীগের মার্কা নির্বাচনে থাকবে না। সমর্থকরা বিকল্প প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন করতে পারবেন।
মেহদি হাসান: আপনি কি মনে করেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে?
অধ্যাপক ইউনূস: হ্যাঁ, এটি সম্ভব। স্থগিতাদেশ কোনো চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা নয়।
পরবর্তীতে পঞ্চম পর্ব পড়তে চোখ রাখুন অধিকার পত্র ডটকম এর ওয়েব সাইটে
মানবাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্তর্বর্তী সরকার মন্তব্য বাংলাদেশ ভোটার অধিকার শেখ হাসিনা নির্বাচন আওয়ামী লীগের স্থগিত কার্যক্রম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাক্ষাৎকার ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: