
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হুমাসকে কঠোর চূড়ান্ত সময়সীমা দেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি গাজা শান্তি পরিকল্পনায় হামাস রবিবার সন্ধ্যা ৬টা (ওয়াশিংটন সময়) পর্যন্ত সম্মতি না দেয়, তবে সকল নরক অবস্থা, যা আগে কখনও দেখা যায়নি, ঘটতে পারে। ট্রাম্প এই ঘোষণাটি দিয়েছেন সোমবার থেকে হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকার পর। তিনি গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ২০-পয়েন্টের একটি শান্তি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন। পরিকল্পনায় যুদ্ধের সমাপ্তি, বন্দি মুক্তি ও ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার পুনর্নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই এই কাঠামো মেনে নিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত হামাস স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তারা কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে। ট্রাম্প মধ্যসপ্তাহে কাতারের এমিরের সঙ্গে কথোপকথন করেন হুমাসের আপডেট জানার জন্য। ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, প্রস্তাবনার বিস্তারিত বিশ্বব্যাপী সকলের জানা, এবং এটি সবার জন্যই একটি দারুণ সুযোগ। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনব একভাবে বা অন্যভাবে। তিনি সকল নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ এলাকায় চলে যেতে বলেছেন এবং হামাসের জন্য শেষ সুযোগ রাখা হয়েছে। পরিকল্পনায় হামাসের অস্ত্রসম্ভার ধ্বংস ও ভবিষ্যতে গাজার শাসনে অংশগ্রহণের সীমাবদ্ধতা প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইসরায়েল ২৫০ ফিলিস্তিনি জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি এবং ১,৭০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে হুমাস ৪৮ বন্দিকে মুক্তি দেবে। হামাসের সদস্যরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থাপনায় অঙ্গীকার করলে ক্ষমা পাবেন।
পরিকল্পনার আওতায় গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনী অস্থায়ীভাবে নিরাপত্তা পরিচালনা করবে এবং একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক কমিটি “বোর্ড অফ পিস” গাজার প্রশাসন তদারকি করবে, যতক্ষণ না পুনর্গঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেয়। পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্নকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং একটি বাস্তবসম্মত পথ প্রস্তাব করা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষিত শান্তি পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য শান্তির পথ দেখাচ্ছে, তবে হামাসের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়ার ওপরই নির্ভর করছে শান্তি কার্যকর হবে কি না। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেতে পারে।
- বিশেষ প্রতিনিধি (Special National Correspondent) মোঃ সাইদুর রহমান (বাবু)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: