odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 3rd November 2025, ৩rd November ২০২৫
“৩ বছর মেয়াদে আবার আমির হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-র শফিকুর রহমান: গোপন ব্যালট ভোটে কার্যকর ফল ঘোষণা”

শফিকুর রহমান পুনরায় আমির

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২ November ২০২৫ ১৮:৪৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২ November ২০২৫ ১৮:৪৬

ঢাকা: ইসলামপন্থী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-র (জামায়াত) আমির পদে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে গত রোববার। দলীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী তিন বছরের (২০২৬-২০২৮) জন্য আমির হবেন শফিকুর রহমান।

এই নির্বাচনের গোপন ব্যালট ভোট গ্রহণ ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে দেশের সব রুকন সদস্যের মধ্য থেকে অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে গতকাল শনিবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী সেক্রেটারি-জেনারেল এ টি এম মা’ছুম আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।

শফিকুর রহমান এর আগে ২০২০-২০২২ ও ২০২৩-২০২৫ কার্যকালে জামায়াতের আমির দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি তৃতীয়বারের মতো দায়িত্বে আসছেন।

দলীয় ঘোষণা অনুযায়ী, “বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় জামায়াত নতুন করে দৃঢ় নেতৃত্ব দিচ্ছে”—এমন ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা আগামী তিন বছরে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংস্কার, নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনা এবং দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করার জন্য কাজ করব।” (উল্লেখ্য: জামায়াতের নতুন প্রার্থী প্রক্রিয়া, সংগঠন শক্ত করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চরমে রয়েছে)৷

এদিকে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, “গণভোট ও জুলাই সনদ-ভিত্তিক সংস্কার সম্পূর্ণ না হবে, নির্বাচনের পরিবেশ প্রস্তুত না হলে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। আমরা নির্বাচনের আগে নিশ্চিত করতে চাই—সংস্কার, নিরপেক্ষ প্রশাসন, ভোটাধিকার রক্ষা।”

এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন— জামায়াত নিজেকে পুনরায় সংগঠিত ও আধুনিক করে তোলার চেষ্টা করছে। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দেবে, পুরনো স্টাইল পরিবর্তন হবে—এরই অংশ হিসেবেই শফিকুর রহমানের নির্বাচিত হওয়া тракт করা হচ্ছে। জামায়াত ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তাদের নির্বাচনী প্রার্থীর তালিকার ৮০ % নতুন মুখ—যাঁদের আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ হয়নি।

আমির নির্বাচনের পর দলীয় স্তরে আগামী পরিকল্পনা বলা হয়েছে—শনাক্ত হবে এলাকার রুকন-সদস্য, পরিচালনায় প্রতিটি ইউনিয়ন-থানা নতুনভাবে সাজানো হবে, রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম জোরদার হবে। এছাড়া নির্বাচন-পরবর্তী প্রস্তুতি, ভোটার সচেতনতাসহ প্রচারণা-বিধি নিশ্চিত করার কার্যক্রম চালু করা হবে বলে দলীয় এক নেতা জানিয়েছেন। (জামায়াত সূত্র)

সম্প্রতি জামায়াতের নেতারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—“নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে গন্য হবে না, বাতিল হবে”। বিজেপি-ই যে নির্বাচন-বাস্তবায়নের রোষায় রয়েছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তারা।

সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছিলেন—“৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত, জামায়াতের কারণে যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের আমরা বিনা শর্তে ক্ষমা চাচ্ছি।” যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সফরে তিনি বলেন, “দলের অচল ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্য যদি কাউকে অপকার হয়, আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”

এই নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত একদিকে দলীয় অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠন ও নতুন প্রজন্মকে নিয়োগের যাত্রা শুরু করলেও, অন্যদিকে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ ও রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন— আগামী সময়ে জামায়াতের ভূমিকা কতটা প্রসারিত হবে, এবং তার প্রভাব কেবল সংগঠনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সময়ই নির্দ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: