odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 23rd November 2025, ২৩rd November ২০২৫
শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচির পর চার ছাত্রাবাস খালি ও ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ভূমিকম্পে ফাটল! রাতেই হল ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা—চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে রাত্রিযাপন ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্রদের

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৩ November ২০২৫ ০২:২৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৩ November ২০২৫ ০২:২৪

তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা | শনিবার রাত, ২২ নভেম্বর ২০২৫

দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্পের পর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ ছাত্রাবাস ‘ধসে পড়তে পারে’—এমন আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা শনিবার রাতে দলবেঁধে হল ছেড়ে চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে রাত্রিযাপন শুরু করেন।
আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন—নতুন হল নির্মাণ বা নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবেন।


 কী ঘটেছে?

শনিবার রাতেই পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ জরুরি নোটিসে চার ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেয়—

  • লতিফ ছাত্রাবাস (পূর্ব ও পশ্চিম)
  • ড. কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস
  • জহির রায়হান ছাত্রাবাস
  • ছাত্রী নিবাস

একই সঙ্গে মিড টার্ম পরীক্ষা ও সব ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

লতিফ ছাত্রাবাসটির একাংশ গত জুনেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সংস্কারের সুপারিশ করেছিল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু ছয় মাসেও কোনো কাজ হয়নি।

শুক্রবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শনিবার সকাল ও সন্ধ্যায় আরও কয়েক দফা কম্পনে ভবনটির বিভিন্ন স্থানে নতুন ফাটল দেখা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।


 শিক্ষার্থীদের বক্তব্য

লতিফ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রমজান আলী বলেন—

“৭০–৮০ বছরের পুরনো ভবনটিতে আগেই অনেক ফাটল ছিল। ভূমিকম্পের পর আরও ফাটল বেড়েছে। আমরা হলে থাকতে ভয় পাচ্ছি—তাই বিছানা-বালিশ নিয়ে সড়কে নেমেছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন—

“ছয় মাস আগে চতুর্থ তলা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”


 কর্তৃপক্ষ ও প্রকৌশল বিভাগের মন্তব্য

শিক্ষার্থীরা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেলা পারভীন বর্তমানে জাপানে রয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

শনিবার রাত ১১টায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম সাফিন হাসান বলেন—

“লতিফ হলটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। চতুর্থ তলার কলাম, বিম, স্লাবের প্লাস্টার ও কংক্রিট খসে পড়েছে; রডও বেরিয়ে গেছে।”

তিনি জানান,
“গত জুনেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল। নতুন করে পরিদর্শন শেষে আমরা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি

ঢাকা পলিটেকনিকের লতিফ ছাত্রাবাস ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ভূমিকম্পে ফাটল বাড়ায় তারা চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ চারটি হল খালি ও ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: