বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত একটি জাতীয় পর্যায়ের সভায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে সমন্বিত সরকারি নীতি–সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন,
“মুন্ডা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, অধিকার ও জীবনধারাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের জলবায়ু–সহনশীল পথ তৈরি করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।”
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে মুন্ডা জনগোষ্ঠী
উপদেষ্টা জানান, প্রকৃতিনির্ভর জীবনব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মুন্ডা জনগোষ্ঠী বর্তমানে অতিরিক্ত জলবায়ু ভঙ্গুরতা, বিশুদ্ধ পানির সংকট, ভূমিহীনতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন,
“সব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হয়তো সম্ভব নয়, তবে সমাধানের যাত্রা আজ থেকেই শুরু করতে চাই।”
প্রথাগত অধিকার সুরক্ষা ও সম্পদে অভিগম্যতার দাবি
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বহু ক্ষেত্রেই মুন্ডা সম্প্রদায়ের প্রথাগত অধিকার উপেক্ষিত হয়।
বন ও প্রাকৃতিক সম্পদে তাদের অভিগম্যতায় দীর্ঘদিন ধরে বাধা সৃষ্টি হয়েছে—যা তাদের জীবিকা আরও সংকটে ফেলছে।
অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন ও সহনশীলতা–বৃদ্ধির ওপর জোর
সভায় আলোচকরা জীবনমান উন্নয়ন, সিদ্ধান্ত–গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, ন্যায়সঙ্গত সম্পদ ব্যবহার এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স–এর সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
এতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান,
অক্সফাম ইন কোরিয়ার সিনিয়র ম্যানেজার জুনগুন লি,
এবং মুণ্ডা সম্প্রদায়ের সেলফ হেল্প–এর সভাপতি সুরধনী মুন্ডা বক্তব্য দেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: