ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষককে নিজ বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০০:০৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০০:০৫

মো: এরফান রাশেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন জুয়েলকে তার নিজ বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত ২২ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন’ শীর্ষক সংবর্ধনা ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভাগের ব্যানারে অংশগ্রহণ করে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ মনির উদ্দিন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে শিক্ষার্থীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন।

শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন আহমেদ বলেন, অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের সামনে ওই দিনের মানববন্ধন ও সমাবেশের ব্যানার ছিল। সেটা দেখে তিনি আমাদের ‘থ্রেট’ দেন। পরে বিভাগের পিয়ন এর কাছে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নাম চান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

‘সেদিন উপস্থিত সকল শিক্ষার্থী ওই সংবর্ধনা ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে। বিভাগের পিয়ন আনোয়ার নিজেও অংশগ্রহণ করেন। এ কথা শুনে উক্ত শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।’

এর প্রতিবাদে বুধবার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং অনুষদে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

পরে শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষক নাকি ক্যাডার’ ‘শিক্ষক নাকি রাজাকার’ প্রভৃতি লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে অনুষদে বিক্ষোভ করেন এবং ওই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

হাজী মুহাম্মদ মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সানী বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে উপাচার্য বরাবর আমরা স্মারকলিপি প্রদান করব।

বিভাগ থেকে ব্যবহারিক কোর্স তুলে দিয়ে শুধু তাত্ত্বিক বিষয়ও চালু রাখার জন্য অধ্যাপক মনিরকে দায়ী করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। ব্যবহারিক কোর্স না থাকায় বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিবেদকের নিকট।

তবে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অধ্যাপক শেখ মনির উদ্দিনের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: