odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 26th November 2025, ২৬th November ২০২৫
আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র ও ন্যায্য অধিকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গাজা হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবৈধ দখল নিয়ে কঠোর নিন্দা জানান তিনি।

ফিলিস্তিনের ন্যায্য লড়াইয়ে বাংলাদেশ সবসময় পাশে”—আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ইউনূসের কড়া বার্তা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৫ ২৩:৫৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ November ২০২৫ ২৩:৫৬

 ঢাকা, ২৫ নভেম্বর ২০২৫


আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় একই—১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই হলো ন্যায়সঙ্গত সমাধান।

তিনি জানান, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্রের ন্যায্য সংগ্রামে ফিলিস্তিনিদের পাশে বাংলাদেশ সবসময় ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা, হাসপাতাল-স্কুলে হামলা, অবৈধ দখল ও উচ্ছেদকে তিনি ‘অভূতপূর্ব মাত্রার অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন—

  • “১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ন্যায়বিচারের চেতনা থেকেই ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা। গত বছরের তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনও অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।”
  • “গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই, তবে ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ রয়েছে।”
  • “আইসিসি ও আইসিজেতে চলমান মামলাগুলো ন্যায়বিচারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইলি অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে হবে।”
  • “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা এখনও স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান করছি।”

তিনি আরও বলেন—দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: