ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মচারী আবাসিক ভবন ‘স্বাধীনতা টাওয়ারে’ আশ্রয় নিতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু ‘আপত্তিকর ও অনৈতিক’ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সমালোচনা ছড়ালে প্রশাসন দ্রুত তদন্তে নেমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের পর আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের জন্য নবনির্মিত এই ভবনে গিয়ে অবস্থান নেন। কিন্তু এর সুযোগে কিছু শিক্ষার্থী ফ্ল্যাটে দীর্ঘ সময় ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ।
২২ নভেম্বর রাতে একজন ছেলে ও মেয়ের ‘আপত্তিকর আচরণের’ একটি ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীর হাতে আসে, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। পরে ডাকসুর এক সদস্য গিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাদের ভবন থেকে বের করে দেন।
২৫ নভেম্বর কর্মচারীদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। অভিযোগে বলা হয়—প্রশাসনের একাধিক আলোচনার পরও এখনো কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন এবং এতে কর্মচারীদের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন,
“আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। প্রভোস্টের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ডাকসুর ভিপি ও জিএসকেও জানানো হয়েছে।
এর আগে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী ভবন থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হন, যার পর শিক্ষার্থীরা নতুন ভবনের দাবিতে কর্মচারী ভবন দখল করে রাতযাপন শুরু করেন। সেই অবস্থান থেকেই পরবর্তীতে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ ওঠে।
ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে—তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: