বৈরুত: যুদ্ধ আশঙ্কার মধ্যে লেবানন এবং ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা নাকুরায় (Naqoura) মার্কিন-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি অধিবেশনে অংশ নেন, যা দুই দেশের মধ্যে চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা। এই ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী নাকুরায়।
আল জাজিরার তথ্য অনুসারে, এই আলোচনা এমন এক সময়ে এলো যখন ইসরায়েলি বিমান হামলার পর নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।
আলোচনার মূল বিষয়:
লেবাননের অবস্থান: লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম (Nawaf Salam) স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে এই আলোচনা শুধুমাত্র "শত্রুতা বন্ধ," "লেবাননের জিম্মিদের মুক্তি," এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে "ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার"-এর লক্ষ্যেই সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, এটি এখনো শান্তি আলোচনা নয়। তবে, ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী হিজবুল্লাহর পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের বিষয়টি যাচাই এবং তাদের সামরিক কাঠামো ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টার ওপর নজরদারি করার জন্য কমিটির ম্যান্ডেট বাড়াতে লেবানন প্রস্তুত।
ইসরায়েলের অবস্থান: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আলোচনাটিকে "ইতিহাসিক অগ্রগতি" বলে আখ্যায়িত করেছে এবং উভয় পক্ষ "ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ধারণা বিকাশে" একমত হয়েছে। তবে ইসরায়েল জোর দিয়েছে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাই হোক না কেন, হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ "বাধ্যতামূলক।"
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:
* এর আগে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের এই কমিটিতে কেবল সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতেন। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে এবারই প্রথম উভয় দেশ বেসামরিক প্রতিনিধি যুক্ত করেছে।
* যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার ফলে উভয় পক্ষই সতর্কতার সঙ্গেengagement এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকার বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এটি দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের পরে একটি সতর্কতামূলক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই নিউজটি কি আপনার "অধিকার পত্র ডটকম" এর জন্য উপযুক্ত মনে হচ্ছে? নাকি আপনি চান আমি অন্য কোনো দিক তুলে ধরে খবরটি লিখি?

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: