ডাবলিন/মাদ্রিদ/হেগ/লিউব্লিয়ানা, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলকে আগামী বছরের ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতা (Eurovision 2026) থেকে বাদ না দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং স্লোভেনিয়া—এই চার দেশ প্রতিযোগিতাটি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) ঘোষণা দেয় যে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো ভোট বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।
মূল ঘটনার সারাংশ
- ইসরায়েলের গাজায় গণহত্যাসদৃশ হামলায় কমপক্ষে ৭০,১২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে—এ অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দেশের সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের অংশগ্রহণ বাতিল দাবি করেছিল।
- কিন্তু ইবিইউ জানায়, ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া হবে না; বরং প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নতুন কিছু সংস্কার আনা হবে।
- এই ঘোষণার পরপরই চার দেশ নিজেদের বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
দেশগুলোর অবস্থান ও মন্তব্য নেদারল্যান্ডসের জাতীয় সম্প্রচারক AVROTROS জানায়—
“বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সাংগঠনিক মূল্যবোধের সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দুইটি গুরুতর অভিযোগ তোলে—
- গত প্রতিযোগিতায় প্রমাণিত হস্তক্ষেপ
- গাজা যুদ্ধ চলাকালে গুরুতরভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন
আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারক RTE বলেছে—
“গাজায় ভয়াবহ প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে আগামী বছরের ইউরোভিশনে আমরা অংশ নেব না।”
এদিকে ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশনের প্রতি “বিশ্বাস ও নিরপেক্ষতা” শক্তিশালী করতে তারা কিছু পরিবর্তন আনছে—
- সেমিফাইনালে পেশাদার জুরির সংখ্যা বাড়ানো
- সরকার বা তৃতীয় পক্ষের অতিরিক্ত প্রভাব প্রতিরোধে নতুন নীতিমালা
পেছনের প্রেক্ষাপট ইসরায়েল গত প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণকারীকে সুবিধা দিতে রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অনেক ইউরোপীয় দেশের। পাশাপাশি গাজায় চলমান যুদ্ধ ও এর নৃশংসতার বিরুদ্ধে দুনিয়াজুড়ে তীব্র সমালোচনা রয়েছে।
চার দেশের বয়কট ইউরোভিশন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিবাদগুলোর একটি হয়ে থাকবে বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: