অধিকারপত্র ডটকম, কুবি প্রতিনিধি-
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তুরস্কের আনাদলু বিশ্ববিদ্যালয় এবং তোকাত গাজী ওসমানপাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এক বা দুই সেমিস্টারের জন্য তুরস্কের ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, পাঠদান ও গবেষণার সুযোগ পাবেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দৃশ্যমানতা বাড়াতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সম্পন্ন হওয়া চুক্তির আওতায় উভয় দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক বা দুই সেমিস্টারের জন্য অপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, পাঠদান এবং গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন। পারস্পরিক সম্মতিতে স্বল্পমেয়াদি একাডেমিক ভিজিটেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সমঝোতা স্মারকের অধীনেexchange অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিতে হবে না, তবে তাদের স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক। স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের লাইব্রেরি, অফিস স্পেসসহ প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুবিধা প্রদান করবে এবং সুযোগ থাকলে আর্থিক সহযোগিতাও করতে পারে। বিনিময় শিক্ষার্থীরা নন-ডিগ্রি শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হবে এবং দেশে ফিরে অর্জিত ক্রেডিট নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করতে পারবে। কোর্স সম্পন্ন হলে তারা স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রান্সক্রিপ্টও পাবেন।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, 'কুবির আন্তর্জাতিক পরিচিতির জন্য এটি একটি বড় অর্জন। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমওইউ পাওয়ার পর ভিসি স্যারের স্বাক্ষরসহ পাঠানো হলে তারা তাদের ভিসির স্বাক্ষর দিয়ে তা ফেরত পাঠায়।'
তিনি আরও জানান, তুরস্ক থেকে কেউ এলে Erasmus ফান্ড ব্যবহার করা গেলেও কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক ফান্ডের অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে দপ্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে; বর্তমানে তিনি ছাড়া আর কেউ স্থায়ীভাবে নেই, যা কাজের গতিকে কমিয়ে দিচ্ছে। তিনি জনবল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তবে এই চুক্তির পাশাপাশি আলজেরিয়া, ভারত, রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশাবাদী, তুরস্কের এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি কুবির আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী–শিক্ষকরা নতুন অভিজ্ঞতা, গবেষণা এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ পাবেন, যা ভবিষ্যতে কুবির গবেষণা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রতিবেদক: শাহরিয়ার হাসান জুবায়ের
সূত্র: কুবি প্রতিনিধি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: