odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 9th December 2025, ৯th December ২০২৫

গাজায় শান্তি বাহিনায় প্রথমেই অস্ত্র নিষ্ক্রিয়তা নয় — তুরস্ক বলছে, আগে হওয়া উচিত “পুলিশ ও প্রশাসন গঠন”

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৯ December ২০২৫ ০৫:৫৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৯ December ২০২৫ ০৫:৫৭

ঢাকা / আন্তর্জাতিক ডেস্ক — ২০২৫ সালের ৭ ডিসেম্বর, Hakan Fidan — তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী — বলেছেন, গাজার জন্য প্রস্তাবিত International Stabilization Force (ISF) থেকে প্রথম কাজ হওয়া উচিত হয় — Hamas (হামাস) গোষ্ঠীর অস্ত্র নিষ্ক্রিয়তা (disarmament) নয়। বরং প্রথমে প্রয়োজন একটি বিশ্বাসযোগ্য গাজা প্রশাসন এবং পেশাদার, নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গঠন।

ফিদান বলেন, গাজায় অস্ত্র ছেঁটে ফেলার প্রত্যাশা “প্রথম ধাপে” বাস্তবসম্মত নয়। তিনি যুক্তি দেন, প্রথমে একটি স্থিতিশীল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন করা দরকার, তার পরে ধাপে ধাপে শান্তি ও স্থায়িত্বের পরিবেশ তৈরি করা যায়।


পটভূমি — কেন গাজায় এই প্রশ্ন?

  • ২০২৫ সালের অক্টোবর–নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে, ইসলামের মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিমা শক্তিবৃন্দ মিলিয়ে গাজার জন্য ISF এবং একটি “পশ্চাত্তর প্রশাসনিক কাঠামো” গঠনের প্রস্তাব করেছে।
  • যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু মিত্র দেশ আশা করছে, এই বাহিনী গাজাকে পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা এবং প্রশাসন দিক থেকে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে গাজা পুনর্বাসন এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি গঠনের লক্ষ্যে একটি প্যালেস্টিনীয় নাগরিক পুলিশ বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
  • তবে, হামাস দ্রুত অস্ত্র ছেড়ে দেবে কি না — সেটা নিয়ে নেতারা একমত নন। হামাস নিজেও জোরালোভাবে সতর্ক করেছে — তারা বলছে, অস্ত্র হঠাৎ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় ছাড়বে না।

তুরস্কের পরামর্শ: ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়া সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত

ফিদানের মত অনুযায়ী:

  • প্রথম ধাপ হবে গাজায় “নিরপেক্ষ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী” গঠন, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারে, আইন–শৃঙ্খলাবিভঙ্গতা রোধ করা যায়।
  • তার পর ধাপে ধাপে অন্য বিষয় — যেমন অস্ত্র নিষ্ক্রিয়তা, মিলিটারী বাহিনী প্রত্যাহার এবং পুরো গাজার পুনর্বাসন — কাজ শুরু করা যাবে।
  • তৎক্ষণাৎ অস্ত্র হঠাৎ নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টাকে “বাস্তববোধহীন” এবং “পরিবেশগত ও নিরাপত্তাগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ” হিসেবে দেখা হবে।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে, তুরস্ক এমন শান্তি পরিকল্পনা রাজি হয়েছেন যা গাজার মানুষের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন ও স্থায়ী শান্তির দিকে কাজ করবে — এবং সঙ্গে থাকবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতি।


বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের পাঠকের জন্য গুরুত্ব কেন

  • গাজায় যুদ্ধ ও সংঘর্ষের পর শান্তি স্থাপন হলে — শুধু অস্ত্র নিষ্ক্রিয়তা নয়, নিরাপত্তা, আইন–শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক পুনর্গঠন হবে অত্যন্ত জরুরি।
  • যদি প্রথম ধাপে শুধুই অস্ত্র বন্ধ করা হয়, কিন্তু প্রশাসনিক শূন্যতা থেকে যায় — তাহলে অস্থিরতা, অব্যবস্থা, এবং নতুন সংঘর্ষের ঝুঁকি থাকবে।
  • তাই আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা, পুনর্বাসন, এবং গাজার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে — ধাপে ধাপে, পরিকল্পিতভাবে ও সংহতভাবে কাজ করতে হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: