খুবি প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম :
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচনে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। গত ১১–১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ও পলাতক হিসেবে পরিচিত কয়েকজন কর্মকর্তা— নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি, মাহমুদুল হাসান, হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ, মনোজ কুমার মজুমদার, আসলাম পারভেজ ও রুহুল আমিন— এই নির্বাচনে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি, উল্লিখিত কর্মকর্তারা সাবেক আওয়ামী লীগ–সমর্থিত স্বৈরাচারী উপাচার্য ড. মো. আলমগীর এবং মিহির রঞ্জন হালদার–এর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে কুয়েটে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, অতীতের অনিয়ম ও সম্ভাব্য তদন্ত বা বিচার থেকে রক্ষা পেতেই তারা মো. মইনুল হক–কে সভাপতি পদে বিজয়ী করতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছেন। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, মো. মইনুল হক তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থাকা তদন্ত, নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভবিষ্যতের কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া থেকে তাদের নিরাপত্তা দেবেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টির নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হলে কুয়েটের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনটি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া গেলে তা সংযুক্ত করা হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: