odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 17th December 2025, ১৭th December ২০২৫

চবি বিজয় দিবসের সভা বর্জন, সহ-উপাচার্যের বক্তব্য ঘিরে তীব্র উত্তেজনা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৬ December ২০২৫ ২৩:৫০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৬ December ২০২৫ ২৩:৫০

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা বর্জন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) এজিএসসহ বিভিন্ন হল সংসদের মোট ৯ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী এক সহ-উপাচার্যের উপস্থিতির প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রনেতারা।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় ‘সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন। সভা শুরুর পরপরই সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রদলের একটি মিছিল অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগ দাবি করে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে চাকসুর এজিএস আয়ুবুর রহমান মঞ্চে উঠে সভা বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরও সংশ্লিষ্ট সহ-উপাচার্য দুঃখপ্রকাশ বা ক্ষমা চাননি। এমন একজনের উপস্থিতিতে আমরা এই সভায় থাকতে পারি না।”

এজিএসের সঙ্গে আরও যাঁরা সভা বর্জন করেন তাঁরা হলেন—
মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের ভিপি মো. তাজিম ও জিএস মো. সাদমান, এ এফ রহমান হলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক তানজিম আশরাফ, শাহজালাল হল সংসদের এজিএস ইমতিয়াজ জাবেদ ও সমাজসেবা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, আলাওল হল সংসদের জিএস মো. নূরনবী ও ক্রীড়া সম্পাদক বনি আল আমিন সরকার, অতীশ দীপঙ্কর হলের ভিপি রিপুল চাকমা এবং শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের সম্পাদক জামিল হোসেন।

বর্জনের সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। পরে চাকসুর ভিপি মো. ইব্রাহীম বক্তব্যে প্রশাসনের প্রতি ক্যাম্পাসে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

হট্টগোলের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনায় সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান পাকিস্তানি বাহিনীর ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ একাধিক সংগঠন তাঁর পদত্যাগ দাবি করে এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: