অধিকারপত্র ডটকম নূর শামস শরণার্থী শিবির, তুলকারেম | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক বাড়িঘর ভাঙার নির্দেশ শত শত ফিলিস্তিনি পরিবারকে স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত করতে পারে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক দপ্তর জানায়, তুলকারেমের নিকটবর্তী নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ২৫টি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
দপ্তরের মতে, এই পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে শরণার্থী শিবিরগুলো খালি করে তাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, যা পূর্ব জেরুজালেমসহ পুরো পশ্চিম তীর দখল ও সংযুক্তিকরণের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNRWA জানায়, এসব ধ্বংসকাজ ১৮ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে, এতে শত শত মানুষ ঘরহারা হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য:
পশ্চিম তীরে UNRWA-এর পরিচালক রোলান্ড ফ্রিডরিখ বলেন,
“এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। ২৫টি ভবন যেকোনো সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে, যার ফলে শত শত মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হবে।”
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে শরণার্থী শিবিরে বাড়িঘর ধ্বংস করছে, তা উত্তর পশ্চিম তীরের ভৌগোলিক কাঠামো স্থায়ীভাবে বদলে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নূর শামস এলাকায় ‘নিরাপত্তাজনিত ও অপারেশনাল প্রয়োজনের’ কারণে এসব ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি সশস্ত্র তৎপরতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবং বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এদিকে ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন Peace Now জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান ডানপন্থী সরকার অন্তত ৬৮টি অবৈধ বসতি স্থাপন করেছে, যা শান্তি ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করছে।
“বুলডোজারের নিচে ফিলিস্তিনিদের ঘর—পশ্চিম তীরে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা!”
#Palestinedisplacement,
#Israelsettlementexpansion,
#পশ্চিমতীরেনূরশামসশরণার্থীশিবিরে #২৫টিভবনগুঁড়িয়েদিলো #WestBankdemolitions #NurShams efugeecamp,#UNRWAwarning,
#forceddisplacemen Palestinians
West Bank demolitions Nur Shams refugee cam Palestine displacement Israel settlement expansion UNRWA warning forced displacement Palestinians UNRWA warning

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: