নিউজ ডেস্ক | অধিকারপত্র
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস)–সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী সোকোটো রাজ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীর পরিচালিত কয়েকটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। প্রাথমিক মূল্যায়নে একাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বড়দিনের দিনে চালানো এই হামলা ছিল “মারাত্মক” এবং তিনি আইএসকে “সন্ত্রাসী নিকৃষ্ট গোষ্ঠী” হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, এই গোষ্ঠী প্রধানত নিরীহ খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল। তবে নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ মাইতামা তুগ্গার বিবিসিকে বলেন, এটি একটি যৌথ অভিযান এবং এর সঙ্গে কোনো ধর্মীয় বিষয় জড়িত নয়। তিনি জানান, নাইজেরিয়ার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনায় ছিল এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও হামলা হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং অনেকে ভেবেছিলেন কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হামলার পর আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি দাবি করেন, ওই এলাকায় আইএস সদস্যদের কোনো উপস্থিতি ছিল না এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি হাসপাতাল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে আঘাত হানে।বিশ্লেষকদের মতে, হামলাটি সম্ভবত ‘লাকুরাওয়া’ নামে পরিচিত একটি নতুন আইএস-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, যারা সাম্প্রতিক সময়ে সোকোটো ও কেব্বি রাজ্যে ঘাঁটি গড়েছে। এর আগে আইএসের প্রধান শাখা ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি) মূলত উত্তর-পূর্ব বর্নো রাজ্যে সক্রিয় ছিল। নাইজেরিয়ার সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হিসেবেই এই নির্ভুল বিমান হামলা চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এক দশকের বেশি সময় ধরে বোকো হারাম ও আইএস-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সহিংসতায় নাইজেরিয়ায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিরিয়ায় আইএস লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলার পর এটি আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বড় সামরিক অভিযান।
--মো: সাইদুর রহমান (বাবু), বিশেষ প্রতিনিধি. অধিকারপত্র

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: