নিজস্ব প্রতিবেদক অধিকারপত্র ডটকম ঢাকা ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫.
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের চলমান আন্দোলনস্থল থেকে খেলনা পিস্তলসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশ থেকেই তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতের দিকে আটক হওয়া যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, তার বাসা রাজধানীর ধানমন্ডি থানার জিগাতলা এলাকায়। আটক ব্যক্তিকে বর্তমানে শাহবাগ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, আটক যুবকের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে খেলনা পিস্তল নিয়ে আন্দোলনস্থলে তার উপস্থিতির উদ্দেশ্য কী—তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান বলেন, কিছু আন্দোলনকারী সন্দেহজনক একজনকে থানায় নিয়ে আসে। তার কাছে অস্ত্র সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি ওসির কক্ষে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, আটক যুবকের সঙ্গে আন্দোলন বা কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে কি না—সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই ইনকিলাব মঞ্চ সর্বাত্মক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। সোমবারও শাহবাগ এলাকায় আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম’সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
যাচাই–বাছাই (ঘটনার প্রকৃত তথ্য)
শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের চলমান আন্দোলন থেকে যে যুবককে ‘অস্ত্রসহ আটক’ বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাচাইয়ে সেটি আগ্নেয়াস্ত্র নয়, বরং একটি খেলনা পিস্তল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শাহবাগ থানা পুলিশ ও ডিএমপির রমনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা বস্তুটি দেখতে বাস্তব পিস্তলের মতো হলেও কারিগরি পরীক্ষায় এটি খেলনা পিস্তল হিসেবে শনাক্ত হয়।
বর্তমানে আটক যুবক শাহবাগ থানা হেফাজতে রয়েছেন এবং তিনি কেন খেলনা পিস্তল নিয়ে আন্দোলনের আশপাশে উপস্থিত ছিলেন, তার উদ্দেশ্য কী ছিল এবং কোনো উসকানি বা নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না—এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে আন্দোলনে অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রমাণ বা সহিংস ঘটনার সত্যতা মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: