odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 1st January 2026, ১st January ২০২৬
ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে গোপন বৈঠক ও জাতীয় ঐকমত্যের সরকার—রয়টার্সকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক স্বীকার জামায়াত আমিরের, ঐক্য সরকারে আগ্রহের ইঙ্গিত

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩১ December ২০২৫ ২৩:২০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩১ December ২০২৫ ২৩:২০

বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ভারতের একজন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই ভারতীয় প্রতিনিধি নিজেই বৈঠকটি গোপন রাখার অনুরোধ করেছিলেন, সে কারণেই বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক একটি সংবেদনশীল সময় পার করছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করাকে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি নিশ্চিত করেন, চলতি বছরের শুরুতে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রকাশ্য বৈঠক হলেও, ভারতীয় প্রতিনিধি বৈঠকটি গোপন রাখতে আগ্রহ দেখান বলে তিনি জানান। তাঁর ভাষায়, “পারস্পরিক আস্থা ও সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য উন্মুক্ত আলোচনার বিকল্প নেই।”

এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও, ভারতীয় সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে—বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে নয়াদিল্লি।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, তাঁর দল কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতি ঝুঁকতে চায় না। বরং সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রাখাই জামায়াতে ইসলামীর নীতি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান জানান, জামায়াত এককভাবে সরকার গঠনের পথে না গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ গঠনে আগ্রহী। তাঁর মতে, দেশের জন্য অন্তত পাঁচ বছরের একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন, যেখানে দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা হবে প্রধান অগ্রাধিকার।

নেতৃত্ব প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, প্রধানমন্ত্রী সেই দল থেকেই হওয়া উচিত। জামায়াত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না—এ সিদ্ধান্ত দলীয় ফোরামেই নেওয়া হবে বলে জানান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাচনী রাজনীতিতে ফিরে আসা জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য জোট ও তরুণ নেতৃত্বের দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দলটির উল্লেখযোগ্য অবস্থানের ইঙ্গিত মিলছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির স্পষ্ট করে বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জামায়াত-অংশীদার কোনো সরকার স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। যদিও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এর আগে মেয়াদের মাঝপথে পদত্যাগে সম্মতির কথা বললেও, সর্বশেষ তিনি এ বিষয়ে আর মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: