
ফ্রান্সে বুধবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন বিপর্যয় চলছে। রেল কর্মীরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখায় যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সংস্কার কার্যক্রমের পথে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় রেল পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ সতর্ক করে জানিয়েছে, আটটি দ্রুতগামী টিজিভি ট্রেনের মধ্যে মাত্র একটি এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ট্রেনের মধ্যে একটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধর্মঘটের প্রথম দিনও এমনটি হয়েছে। ফরাসী গণমাধ্যমগুলো একে ‘কালো মঙ্গলবার’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
খবর এএফপি’র।
এসএনসিএফ শ্রমিক নেতারা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে এয়ার ফ্রান্স কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও শক্তি খাতের কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনও মঙ্গলবার পৃথকভাবে কর্মবিরতি পালন করেছে।
ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এগার মাসের মধ্যেই ম্যাঁক্রোকে এই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে।
২০২০ সাল নাগাদ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে এই মুহূর্তে রেল খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
ম্যাঁক্রো সরকারের মতে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে ফ্রান্সে ট্রেন চালাতে সরকারের ৩০ শতাংশ বেশি ব্যয় হয়।
ইউনিয়নগুলো ম্যাঁক্রোর এই সংস্কার কার্যক্রমকে জাতীয় রেল সংস্থাটিকে বেসরকারিকরণের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে সরকার তাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।
সরকার বলছে, রেল কর্মীদের বিশেষ স্ট্যাটাস দেয়ার লক্ষেই এই সংস্কার করা হচ্ছে। যাতে করে তাদের চাকুরি জীবন নিশ্চিত হয় এবং তাড়াতাড়ি অবসরে যেতে পারে। এক তৃতীয়াংশের বেশি ট্রেন চালক কর্মবিরতি পালন করেছে।
২৮ জুন পর্যন্ত সপ্তাহে দুই দিন করে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর জন্যে ফ্রান্সের ৪৫ লাখ ট্রেন যাত্রীকে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: