ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

শেষপর্যন্ত কি বি এন পি সংস্কারপন্থীরা নিয়ন্ত্রণ করবে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:০৫

সসম্প্রতি বি এন পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়ার লাগাম হিন কথাবার্তা, এবং দলের ত্যাগী সিনিয়র নেতাদের সাথে বেয়াদবি, এবং কারাবন্দী বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া বি এন পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আালমগির এর সাথে দেখা না করায় বিএনপির কিছু নেতা কর্মী র মাঝে ক্ষোভ এবং কিছু নেতাকর্মী দের মাঝে হতাশার সৃস্টি হয়, খালেদা জিয়া মুক্তি পাক না পাক নির্বাচনে বিএনপি এবার অংশ গ্রহণ করতেই হবে আর খালেদাজিয়া কারাবন্দী থাকাঅবসথায় নির্বাচনে বিএনপির ভাগ্য কি ঝুট বে তা নিয়ে মতবিরোধ আছে সর্বপরি বিএনপি একটি দিধাবিভক্ত দল হয়ে আছে আর এ সুযোগ কেই কাজে লাগাচ্ছে অন এলিভেন সেই সুবিধা ভোগিরা

 

আবার সক্রিয় হয়ে উঠছেন ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থীরা। দলে তাদের গুরুত্ব বাড়ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাদের গুরুত্ব দিয়ে কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছেন। ফলে তারা দলের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে শুরু করেছেন।
গত ২৮ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য নজরুল ইসলাম খানের সাথে জয়নুল আবেদিন ফারুক ও ঢাকা মহানগরের আরেকজন নেতার যাবার কথা থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে সংস্কারপন্থী নেতা মেজর হাফিজউদ্দিন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে পাঠানো হয়। মূলত তাদেরকে দলে কাজের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সক্রিয় করে আলোচনায় রেখে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতেই এমনটি করা হয় বলে জানান রিজভীপন্থী একজন নেতা।

সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিশ দলীয় জোটের সমন্বয়কের পদ হতে সরিয়ে নজরুল ইসলাম খানকে মনোনীত করার পর হতেই মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল এক সময়ের খালেদা-বিরোধী ও সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত নেতাদের কাছে টানতে শুরু করেন। এদের মধ্যে লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জহির উদ্দিন স্বপন, এমরান সালেহ প্রিন্স, মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান- এরকম সংস্কারপন্থীরা এখন দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছেন এবং কর্মকাণ্ডে তাদের যথেষ্ট সক্রিয় দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সেনা-সমর্থিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে এই নেতারা প্রকাশ্যে এবং গোপনে ওই সরকারকে সমর্থন জানায়। বিএনপির মধ্যে এই নেতারাই বেগম খালেদা জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাব প্রণয়ন করেছিল। ওয়ান ইলেভেনের পর এরা দলে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েন। কিন্তু বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আস্তে আস্তে তাদের কাছে টানতে শুরু করেন।

সূত্রমতে, সরকারের সঙ্গে আঁতাত ও দল ভাঙ্গনের প্রচেষ্টার অভিযোগ ও সন্দেহের কারণে তারেক ও রিজভীপন্থী এবং সিনিয়র ও কট্টরপন্থীদের অসহযোগিতার ফলেই মির্জা ফখরুল সংস্কারপন্থীদের দিকে ঝুঁকেছেন এবং তাদেরকে দলে সক্রিয় করবার চেষ্টা করে যাচ্ছে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: