odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫

জেলখানায় বন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৪ July ২০২৫ ২৩:৪৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৪ July ২০২৫ ২৩:৪৬

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন অপরাধে বন্দি হয়ে কারাগারে যারা থাকে তারা আমাদের সমাজেরই অংশ। এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা যেন পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সংশোধিত হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। জেলখানায় বন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।


আজ দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ কারাগারে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা চালু আছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন শিক্ষক কয়েদি ও হাজতিদের ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কারাবন্দিদের মধ্য থেকেও কয়েকজন এ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের চাহিদা সাপেক্ষে আমরা এ কারাগারে আরো ধর্মীয় শিক্ষক নিযুক্ত করব। এখানে বন্দি হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজতি ও কয়েদিদের জন্যও আমরা ধর্মীয় শিক্ষক নিযুক্ত করব।

তিনি আরো বলেন, কারাগারের নিরাপত্তা ও কিছু কৌশলগত কারণে কারা অভ্যন্তরে মসজিদ, মন্দির বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কারাবন্দিরা যাতে ধর্মচর্চা ও উপাসনা করতে পারে সেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এজন্য জায়নামাজ, কার্পেট ও ধর্মীয় বই-পুস্তকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।

উপদেষ্টা কারাগারটির কেন্দ্রীয় মক্তব, হিফজ শাখা, লাইব্রেরি, মনন চর্চা ও শরীরচর্চা কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার, রন্ধনশালা, বিভিন্ন কারিগরি শাখা, ওয়ার্ড ও সেল ঘুরে দেখেন এবং হাজতি ও কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দ্রুততম সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ধর্মীয় বইপত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কারা মক্তব চালু করে। বর্তমানে এ কারাগারে বারোটি মক্তব চালু আছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত এ মক্তবগুলো থেকে আট হাজার ২২২ জন কারাবন্দি আরবি শিক্ষা, দুই হাজার ৪৭০ জন কারাবন্দি কুরআন শিক্ষা অর্জন করেছেন। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৫০০ বার কুরআন খতম হয়েছে।

কারাগার পরিদর্শনের সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান, আইজি (প্রিজন) সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, এআইজি (প্রিজন) জাহাঙ্গীর কবির, সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: