ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
পাঁচ দফা সময় বাড়ানোর পরও হজযাত্রীদের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি

ধর্মমন্ত্রণালয় হজযাত্রী নিবন্ধনে আরও তিনদিন সময় বাড়িয়েছে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৪১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:৪১

পাঁচ দফা সময় বাড়ানোর পরও হজযাত্রীদের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এখনো প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি রয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ জন যাবেন। এর মধ্যে ৪৫৮ জন যাবেন হজগাইড ও রাষ্ট্রীয় খরচে। বাকি ছয় হাজার ৭৪০ যাবেন হজযাত্রী।

হজযাত্রী নিবন্ধনে আরও তিনদিন সময় বাড়িয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়। রোববার থেকে শুরু হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ নিবন্ধন চলবে। একইসাথে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন লাখ ৭২ হাজার ৬৫৭ ক্রমিক থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৩২ ক্রমিক পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের পর পরবর্তী ক্রমিক থেকে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।

 

এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ছয় হাজার ১৩২ জন। ফলে এখনো ৬০৮ টি কোটা পূরণ হয়নি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার কোটার মধ্যে তিন হাজার চারশ জন যাবেন হজগাইড। বাকি এক লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন যাবেন হজযাত্রী। গতকাল পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন এক লাখ ১০ হাজার ৫৬৯ জন। অর্থাৎ কোটা পূরণে এখনো বাকি রয়েছে ছয় হাজার ৩১ জন। ফলে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এখনো কোটার ছয় হাজার ৬৩৯ টি খালি রয়েছে।

গত ১ মার্চ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের মূল নিবন্ধন শুরু হয়। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন শুরু হয় ৬ মার্চ থেকে। প্রাথমিকভাবে ১১ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বেধে দিলেও পরবর্তীতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার নিবন্ধনের সুবিধার্থে প্রথম দফা সময় বাড়িয়ে ১৮ মার্চ নির্ধারণ করে। কিন্তু শুরু থেকেই হজযাত্রী নিবন্ধনে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।

হজযাত্রীরা সময়মত পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণে নিবন্ধনে ধীরগতি হয় বলে হজ সংশ্লিষ্টরা জানান। এ কারণে আরেক দফা সময় বাড়িয়ে ২২ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয় নিবন্ধনের। কিন্তু এ সময় পরও ৩৮ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন বাকি রয়ে যায়। এ কারণে আরো ১০ দিন সময় বাড়িয়ে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শেষ সময় দেয়া হয়। পরে শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: