ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
এখন বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তারা এই হৃদরোগের জন্য দায় পাঁচটি জিন চিহ্ণিত করতে পেরেছেন।

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন প্রাণঘাতী হৃদরোগের জন্য দায়ী 'জিন'

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৩৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৩৯

এখন বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তারা এই হৃদরোগের জন্য দায় পাঁচটি জিন চিহ্ণিত করতে পেরেছেন।

এর ফলে এ ধরণের রোগ এখন অনেক আগে সনাক্ত করা যাবে এবং এর চিকিৎসাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন চিকিৎকরা।

ব্রিটেনে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ পালমোনারি আর্টারিয়াল হাইপারটেনশনে (পিএএইচ) আক্রান্ত। যারা এই রোগে আক্রান্ত হন তাদের হৃদযন্ত্র থেকে যে ধমনী বা রক্তনালী দিয়ে রক্ত ফুসফুসে যায়, সেই ধমনী মোটা ও শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশংকা থাকে।

সাধারণত যাদের হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসে অন্য সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেই এই রোগটা বেশি দেখা যায়। তবে যে কোন লোকেরই এই রোগ হতে পারে এবং তা কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই।

পাঁচ ধরণের জিনকে দায়ী করা হচ্ছে এই প্রাণঘাতী রোগের জন্য                             পাঁচ ধরণের জিনকে দায়ী করা হচ্ছে এই প্রাণঘাতী রোগের জন্য

খুবই প্রাণঘাতী এক হৃদরোগের জন্য দায়ী কিছু জিন বিজ্ঞানীরা চিহ্ণিত করতে পেরেছেন যে ধরণের হৃদরোগে হদযন্ত্র বা ফুসফুস প্রতিস্থাপনই একমাত্র চিকিৎসা।

'পালমোনারি আর্টারিয়াল হাইপারটেনশন' নামে পরিচিত এই হৃদরোগে আক্রান্তদের শতকরা পঞ্চাশ ভাগই সাধারণত পাঁচ বছরের মধ্যেই মারা যান। কিন্তু কেন কিছু মানুষ এই রোগটিতে আক্রান্ত হন সে সম্পর্কে এতদিন খুব কমই জানা গেছে।

এ ধরণের রোগে আক্রান্তদের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা। কিন্তু ব্রিটেনের মতো দেশে হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়, কারণ প্রতিস্থাপন করার মতো অঙ্গের সংকট আছে। আর অনেক সময়েই প্রতিস্থাপন করা হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস কারও শরীর প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

এই গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের একজন এবং ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক নিক মোরেল বলেন, এই জিনগুলোর বৈশিষ্ট্য চিহ্ণিত করার মাধ্যমে তারা এখন বুঝতে পারেন কিভাবে এই রোগটি হয়।

"এর ফলে এখন আমরা এই রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসায় নতুন উপায় খুঁজে পাব বলে আশা করি।"

bbc



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: