ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
সাধারন-সম্পাদক, ওবায়দুল কাদের নিজের গাড়িতে রোগী নিয়ে গেলেন হাসপাতালে

আওয়ামীলীগ সাধারন-সম্পাদক,সড়ক ও সেতু মন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের  মানবিকতার উজ্জল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করলেন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ২০:১৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ২০:১৯

 

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অভিযান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর যখন গাড়িতে উঠবেন এমন সময় তার কানে এল আমি স্যারের সাথে কথা বলব, স্যার আল্লাহ্‌র জন্য আমাকে সাহায্য করুন,   মন্ত্রী পিছন ফিরে দেখে হাটুর নিচে পচন ধরা দগদগে ঘা একটা মানুষের করুন আর্তি প্রোটকল তাকে আটকে দিছে আসতে দিচ্ছে না মন্ত্রীর কাছে । মন্ত্রী ধমক দিলেন প্রোটকল কে জিজ্ঞাস করলেন কি হয়েছে এই বলে তিনি এগিয়ে গেলেন আর্তনাদ করা অসহায় মাণুষটির কাছে,
লোকটার নাম  মিজান, সড়ক দুঘর্টনায় আঘাত পাওয়ার পর হাঁটুর নিচে প্রায় পচন ধরেছে।হতদরিদ্র, তাই চিকিৎসা করাতে পরছে না। তাই বাচার করুন আর্তি আওয়ামীলীগ এর এ মন্ত্রীর কাছে। সাথেই ছিল বিকট মূখশ্রী সম্পন্ন দু জন নারী,  অ্যাসিড সন্ত্রাসের সিকার মা বিলকিস বেগম, মেয়ে বিথী   অ্যাসিড এর কারনে  দু’জনের মুখের আকৃতি পাল্টে গেছে। মেয়ের ডান হাত এমনভাবে ঝলছে গেছে যে পরে তার হাতের কবজি কেটেই ফেলতে হয়েছে। এই তিনজন মন্ত্রীকে দেখে সাহায্য চান।

আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদককে কাছে পেয়ে সাহায্য চান তারা,সব শুনে মন্ত্রী নিজের গাড়িতে করে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান । মন্ত্রী তার নিজ গাড়ির সামনের আসনে বসে দুই নারীকে পেছনের আসনে বসান। আর মিজানকে প্রটোকলের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।

বিলকিস বেগমের সঙ্গে  কথা বলে জানা গেছে, তাদের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তার মামাকে অ্যাসিড মারতে এসে মা ও মেয়েকে অ্যাসিড মারে সন্ত্রাসীরা। মামা সেদিন ভয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন না। এমনকি মামা যেখানে ছিলেন সেখানেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।অথচ আজ পর্যন্ত কোনো বিচার পাননি তারা।

আজ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সব খুলে বলার পর তিনি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। এ সময় উপস্থিত উৎসুক জনতা মন্ত্রীর প্রশংসায় মেতে ওঠেন।

এ সময় কান্না জড়িত কণ্ঠে বিথি জানান, গরিব হওয়ায় আমরা ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারিনি। কোথায় কী ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যায় তাও জানি না। 
মন্ত্রীর সহকারীর একান্ত সচিব আবুল তাহের মো. মহিদুল হক তাদের সঙ্গেই ছিলেন। তিনজনকেই ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ডাক্তার প্রয়োজনবোধ করলে তাদের ভর্তি করা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। , রাজনীতি মানেই তো জনগণের সেবা করা। এই সামান্য কাজের কথা উল্লেখ করে কী লাভ, দেশে কত অসহায় এমন বিলকিছ বিথী মিজান আছে আমার কি সবার খবর নিতে পারি তবে মাদার অব হিউম্যানিটি আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই অশহায়দের কথা চিন্তা করে পত্যক ইউনিয়নে কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মান করে জন জিবনে দুর্ভোগ কমাতে সক্ষম হয়েছে,মন্ত্রী সমাজপতি দের বলেন যার যার অবস্থান থেকে যদি আমরা সবাই এগিয়ে আসি তবে আার বিলকিস, মিজান, বীথিদের অবস্থা বদলে যাবে,  



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: