ঢাকা | Saturday, 18th October 2025, ১৮th October ২০২৫

বিদেশি স্যাটালাইটকে আর অর্থ প্রদান করতে হবে না:জয়

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ April ২০১৮ ২৩:৪৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ April ২০১৮ ২৩:৪৭


প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, 'হাত পেতে নিতে চাই না। কেউ হাত পেতে নিতে পছন্দ করে না। দরিদ্র দেশ হিসেবে হাত পেতে নেয়ার থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সম্মান নিয়ে থাকতে চাই আমরা।'


তিনি রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'লেটস টক' অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত জানিয়ে তিনি আরো বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশিরা এক সাথে কাজ করলে বিশ্ব জয় করতে পারে।'
তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান 'লেটস টক' এর আয়োজন করে সিআরআই। অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তরুণদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৮তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ। ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অর্থনীতির ক্রয় ক্ষমতা বেশি। তাদের সুবিধা একটাই, জনসংখ্যা। তাদের জনসংখ্যা কম।
এ সময় দেশের বেকারত্ব বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সরকারি চাকরিতে এক বছরে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার জন চাকরি পায়। এটা আমাদের মূল চাকরির বাজার হিসেবে খুবই ছোট। বর্তমান যুগে স্থায়ী চাকরির জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রত্যেক ব্যক্তি উদ্যোগী হয়ে নিজের আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। আর সে কারণে সরকার সাহায্য করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাধ্যমে ৬ লাখের বেশি মানুষ আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। ভবিষ্যতে এই খাত থেকে বাংলাদেশ বড় অঙ্কের বিদেশি অর্থ উপার্জন করবে।
সজীব ওয়াজেদ বেকারত্ব প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেক মানুষ তার বর্তমান চাকরি থেকে আরো ভালো অবস্থানে যেতে চায়। এটা ভালো বিষয়। কিন্তু এ কারণে স্থায়ী চাকরির জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। আপনি টিউশনি করাচ্ছেন। কিন্তু কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলবেন বেকার। এটা ঠিক নয়। বাংলাদেশে সত্যিকার বেকারের বর্তমান সংখ্যা মাত্র ৪ ভাগ। উন্নত বিশ্বেও এই হার ২-৩ শতাংশ থাকে। সরকার নতুন নতুন অনেকগুলো প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তার অধিকাংশ কাজই হচ্ছে বেসরকারিভাবে। সুতরাং চাকরির সবচাইতে বড় বাজার বেসরকারি খাত। সরকারি খাত চাকরির মূল খাত নয়। আমার জানা মতে দেশের বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী চাকরিতে নিচ্ছে। অথচ সরকারি চাকরি বছরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নেই।
তরুণদের সাথে 'লেটস টক' আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, বক্তৃতা দিতে আমার ভালো লাগে না। আমি তরুণদের কথা শুনতে চাই। তাদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। এক পাক্ষিক কথা বলে লাভ হয় না।
সরকারের ডিজিটাল সেবা ও কার্যক্রম সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল আনার ব্যবস্থা করে। আর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে আসা হয়। এক সময় ১ এমবিপিএস ৮০ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। সেটি এখন হাজার টাকারও কমে পাওয়া যাচ্ছে। দেশে ২ হাজারের বেশি ইউনিয়নে ইন্টারনেট ক্যাবল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরো কয়েক হাজার ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হবে এ বছর। যে সকল ইউনিয়নে ক্যাবল নিয়ে যাওয়া সম্ভব না সেখানে স্যাটালাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের।
বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি স্থাপন করা হলে অর্থনৈতিক লাভ রয়েছে। কিন্তু তার থেকে বড় লাভ হলো দেশের তথ্য নিরাপত্তা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বিদেশি স্যাটালাইটকে আর অর্থ প্রদান করতে হবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: