ঢাকা | Saturday, 18th October 2025, ১৮th October ২০২৫
ওয়েবসাইট খুলে এবং অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে পেজ খুলে যৌন সেবা বিক্রির ব্যবসা করছিলেন।

অনলাইনে যৌন ব্যবসা বাংলাদেশে, ব্যবসায়ী আটক

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৮ April ২০১৮ ১৭:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৮ April ২০১৮ ১৭:২১

 বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, মাহতাব রফিক অনলাইন ওয়েবসাইট খুলে এবং অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে পেজ খুলে যৌন সেবা বিক্রির ব্যবসা করছিলেন।

চীনে অনলাইনে শিশু পর্ণ সাইট দেখা বড় ধরণের অপরাধচীনে অনলাইনে শিশু পর্ণ সাইট দেখা বড় ধরণের অপরাধ

 

পুলিশ এখন পর্যন্ত অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে এ ধরণের ৮টি গ্রুপ এবং ৬টি পেজ খুঁজে পেয়েছে যেগুলোর অ্যাডমিন ছিলেন মি রফিক।

পেজগুলোতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের প্রোফাইল এবং যৌন উদ্দীপক ছবি দেয়া হতো । খরিদ্দাররা অনলাইনে প্রোফাইল দেখে তাদের আগ্রহ জানাতেন।

অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো এসব অনলাইন গ্রুপ এবং পেজে। এ গ্রুপে সবাই ঢুকতে পারতেন না।

মাহতাব রফিকের বিরুদ্ধে আইসিটি এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

মি. জামান জানান, মাস দুয়েক আগে বিবিসির একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তারা অনলাইনে ঢাকায় 'স্কোয়াট সার্ভিস' অর্থাৎ সঙ্গী সরবরাহের ব্যবসা চালানোর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ বেশ কতগুলো সাইট এবং সামাজিক মাধ্যমে পেজের সন্ধান পায় যেগুলোর মাধ্যমে যৌনকর্মী সরবরাহের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল।

"আমরা আগে শুনেছি এসব হচ্ছে, কিন্তু অনুসন্ধানে আমরা তার প্রমাণ পেয়ে যাই"।

ফিলিপিনসে শিশু পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে শিশুদের বিক্ষোভ                    ফিলিপিনসে শিশু পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে শিশুদের বিক্ষোভ

মি. আলিমুজ্জামান বলেন - এসব পেজ খুলে যৌনকর্মী সরবরাহের সার্ভিস যেমন দেওয়া হচ্ছিল, একইসাথে আগ্রহী খরিদ্দারদের ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল।

এসবের সাথে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ সেসময় ৭ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

"এর পরও অনুসন্ধান অব্যাহত রাখি, এবং সেই প্রক্রিয়ায় সোমবার মাহতাব রফিককে ধরা হয়।"

"এসব সাইট কারা ব্যবহার করতো, কারা কারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত - পুরো চক্রকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।"

মি. রফিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেন থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে দেশে গিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসা করতেন। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের একজন সদস্য বলেও দাবি করেছেন।

পুলিশ তার এইসব বক্তব্য পরীক্ষা করে দেখছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: