ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
বিএনপি নিজেরাই নিজেদের উপর নাখোশ

তারেক রহমান আওয়ামীলীগ এর টারগেট : রিজভী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:২৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:২৯

সরাকারী দল তারেক জিয়াকে টারগেট করেছে শেখ হাসিনা লন্ডন সরকারকে তারেক জিয়া দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী তাকে কি ভাবে সে দেশে থাকতে দেওয়া হচ্ছে এরকম এক মন্তব্য থেকে রিজভি বলেন সরকার তারেক জিয়াকে টারগেট করেছে আর অন্যদিকে দলের আরেক সিনিয়র নেতা গয়েশশর রায় বলেছেন খালেদা জিয়ার জিবন নিরাপদ নয় , অন্যদিকে দলের সিনিয়র নেতারারা নেত্রীর মুক্তির উপর নজর না দিয়ে নির্বাচন মুখী , এতে দলের মধ্য বিভাজন তৈরী হয়েছে ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আন্দোলন তরান্বিত করার দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেই দলটিতে। নতুন কোনও কর্মসূচি না দিয়ে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনই মুখ্য হয়ে উঠেছে দলটিতে। এ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিএনপিতে। কোনও কোনও নেতা মনে করছেন, বিএনপির মনোযোগ খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে নির্বাচনের দিকেই বেশি। এমনকী একটি অংশ খালেদা জিয়াকে ছাড়াই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ভেতরে-ভেতরে প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

বিএনপির নেতারা বলছেন, দলীয়ভাবে মনোযোগের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার বিষয়টিই শীর্ষে রয়েছে। যদিও কৌশলগত কারণে সিটি নির্বাচনকে সামনে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনও তরান্বিত হবে, তবে এর জন্য সময় প্রয়োজন। অন্তত আরও ৩ মাস অপেক্ষা করে জুনের পর কর্মসূচি কঠোর করবে বিএনপি।

নেতাদের ভাষ্য, সরকারের নির্বাচনকেন্দ্রিক মেরুকরণই আন্দোলনের নতুন মাত্রা তৈরি করবে। আর তারা ওই পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছেন।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যের নেতৃত্বে দু’টি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন তুলেছেন কৌশল নিয়ে। রাজধানীতে একটি সভায় তিনি বলেছেন, ‘কৌশলের কথা বলেন। এখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কৌশল একটাই, রাস্তায় নামা, জনগণ রাস্তায় নামবে। এটাই কৌশল।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেলে যাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে। এরমধ্যে গণস্বাক্ষর, প্রতীকী অনশন, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ ছিল। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। ঢাকায় চারবার অনুমতি চাইলে ডিএমপি সমাবেশের কোনও অনুমতি দেয়নি। এর বাইরে পোস্টার ছাপানো হলেও কর্মসূচিতে নতুন কোনও সংযুক্তি আসেনি।

গত ২ এপ্রিল দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কাউন্সিল, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে আন্দোলন বেগবান করার পরামর্শ আসে। শান্তিপূর্ণ ধারায়ই আরও গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। যদিও পরবর্তী দুই সপ্তাহে কোনও অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়নি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) এক সভায় জোর দিয়েই বলেছেন, ‘যেই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই, সে সরকারের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নতুন করে বুঝতে হবে? এই সরকারের বিরুদ্ধে এই জাতীয় প্রতিবাদ, এই জাতীয় আন্দোলন দিয়ে নেত্রী মুক্তি পাবেন? এটা আশা করেন?’

যদিও বিএনপিনে তাদের ভাষ্য ছিল, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তিই প্রথম শর্ত। আর তার মুক্তির মধ্য দিয়েই নির্বাচনের বিষয়ে যাত্রা শুরু করবে বিএনপি। এরইমধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের অনীহা রয়েছে। আর এই অনীহা নির্বাচন পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে। আর এ শঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন প্রবীণ সদস্যের আগাম বার্তা, ‘শেষপর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে, তাকে ছাড়াই বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে।’

আর এখানেই গয়েশ্বর চন্দ্রের বিরোধিতা। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে বিরোধী দল বলতে এখনও বিএনপিকেই বোঝে। আর বিএনপিকে যদি নির্বাচনে নামানো যায়, তাহলে সে নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন, হাসিনার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা আর আগামী নির্বাচনের বৈধতা দু’টি একসঙ্গে পাবে। এখন বিএনপি কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার জন্য?’ তিনি এও বলেন, ‘তাহলে সরকার এই বাগাড়ম্বরা করে কীভাবে?’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: