ঢাকা | সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

রূপকথার মতো উত্থান হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে নিলো ফ্রান্স

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৮ ২৩:২৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৮ ২৩:২৮

দুই দশকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ফ্রান্স। রূপকথার মতো উত্থান হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে দিদিয়ের দেশশের শিষ্যরা। আর প্রথমবারের মতো ফাইনাল ওঠে রূপকথার চূড়ান্ত সমাপ্তি টানতে পারল না ক্রোয়েটরা। যে কারণে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দলটিকে। 
 
ফাইনাল ম্যাচে অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু নিজেদের ভুল আর চাপের কাছেই অনেকটা ধরাশায়ী হয়েছে দলটি। মাঠে নেমেই একের পর এক ফরাসিদের প্রান্তে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু এর মধ্যেই ১৮ মিনিটে দুঃখজনকভাবে প্রথম গোল খেয়ে বসে দলটি। বক্সের বাইরে ডানদিকে অ্যান্টনি গ্রিজম্যানকে ফাউল করা হলে ফ্রিকিক পায় ফ্রান্স। গোলপোস্টের সামনে গ্রিজম্যানের নেয়া ফ্রিকিক ক্রোয়েট ফুটবলার মানজুকিকের মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের বক্সেই। বক্সের বাইরে ডানদিকে অ্যান্টনি গ্রিজম্যানকে ফাউল করা হলে ফ্রিকিক পায় ফ্রান্স। গোলপোস্টের সামনে গ্রিজম্যানের নেয়া ফ্রিকিক ক্রোয়েট ফুটবলার মানজুকিকের মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের বক্সেই। 
 
এক গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি ক্রোয়েশিয়া। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে পেরেসিক গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। কিন্তু প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই সেই সমতা ভেঙে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নিজেদের বক্সে ফরাসি এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সেই পেনাল্টি থেকে ৩৮ মিনিটে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে নেন গ্রিজম্যান। 
 
 
বিরতির পর ফ্রান্স যেন হঠাৎই দারুণ ছন্দে ফিরে আসে। সেই ছন্দে ৫৯ মিনিটে পল পগবা গোল করে ব্যবধানটা ৩-১ করেন। বক্সের বাহির প্রান্তে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন তিনি। এর ৬ মিনিটের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপে ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নীচু শটে দুর্দান্ত এক গোল করে আরো এক দফা ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। এতে ব্যবধানটা ৪-১ হয়ে যায়। 
 
তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশলে চলে যায় ফ্রান্স। সেই সুবাদে ৬৯ মিনিটে মারিও মানজুকিক গোল করে ব্যবধানটা ৪-২ এ নামিয়ে আনেন। এরপর বেশ খানিক্ষণ রক্ষণ সামালে ব্যস্ত থাকে ফ্রান্স। আর ক্রোয়েশিয়া একের পর এক আক্রমণে যেতে থাকে। তবে ফরাসিদের রক্ষণব্যুহ ভেঙে আর কোনও গোলের সুযোগ ক্রোয়েটরা তৈরি করতে পারেনি। এরপর ফ্রান্স আবার আক্রমণাত্মক হয়ে কয়েকটি প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু আর গোল হয়নি। তাই ৪-২ গোলে ফাইনাল জিতে শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ফ্রান্স


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: