ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
বিমান-টিকিট কেটে হজযাত্রীদের ভিসা নিশ্চিত করুন

ধর্মসচিব আনিছুর রহমান হাজিদের জন্য মক্কা ও মদিনায় দ্রুত বাড়িভাড়া নেয়ার পাশাপাশি ক্যাটারিং সার্ভিস নিশ্চিত করা ও বিমান টিকিট কেটে তাদের ভিসা নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮ ২২:০০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮ ২২:০০

 

ধর্মসচিব আনিছুর রহমান হাজিদের জন্য মক্কা ও মদিনায় দ্রুত বাড়িভাড়া নেয়ার পাশাপাশি ক্যাটারিং সার্ভিস নিশ্চিত করা ও বিমান টিকিট কেটে তাদের ভিসা নিশ্চিত করতে হজ এজেন্সিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। হজ এজেন্সিগুলোর মালিক ও প্রতিনিধিদের সাথে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার বিকালে ‘হাব’ নেতৃবৃন্দেও সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রণালয়।
এদিকে আজকের বৈঠকে প্রতিটি এজেন্সীর হাজি নিবন্ধন, মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং বুকিং ও বিমান টিকিটের বিষয়ে পৃথকভাবে হিসাব নেন ধর্মসচিব।
হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে আনিছুর রহমান বলেন,‘আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, এবার সৌদি আরব কোন অতিরিক্ত স্লট দেবে না। আমরা দেখেছি প্রথম ও শেষের দিকে টিকেটের বেশি চাহিদা থাকে। হজ ফ্লাইট চলাকালীন মাঝমাঝি সময়ের টিকেটগুলো নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়। বড়ি ভাড়া না হওয়ায় অনেকেই টিকেট নেন না। আমরা বলি আগে টিকেট নেন, তারপর বাড়ি ভাড়া করেন। এখনও মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়ার সুযোগ আছে, ভাড়াযোগ্য পর্যাপ্ত বাড়ি খালি রয়েছে।’
হাব’কে বিপদে ফেলা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সহযোগিতা করা মানে হলো হাজিদের সহযোগিতা করা। ‘আমি শুধু বলতে চাই, সবাইকে নীতিমালা মোতাবেক চলতে হবে।’
ধর্ম সচিব বলেন, ‘আগামী ১৫ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এবং ১৭ আগস্ট সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট শেষ হবে। ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত বিমানের টিকিট এখনো পর্যাপ্ত আছে। এ সময়ের মধ্যে যদি টিকিট না করেন, তাহলে আপনাদের হাজিরা হজে যেতে পারবেন না। এতে আপনারা ভয়াবহ সংকটে পড়বেন।’
বৈঠকে ধর্ম সচিব বলেন, প্রক্রিয়াগত কিছু কারণে অনেক হজ এজেন্সির টিকেট কাটা বাকি আছে। কারো টিকেট নিশ্চিত হওয়া এক ক্লিকের বিষয়। এটা হয়ে গেলে অনেকেই আজ ডাকা লাগত না।
এ বিষয়ে সচিব বলেন, হজ নীতিমালা অনুযায়ী এজেন্সিগুলো ইতোমধ্যে মোট হজযাত্রীর ৪ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট করে ফেলেছেন। কেউ মারা গেলে বা গুরুতর অসুস্থ হলে কেবল মাত্র রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আপাতত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেই। পরে অবস্থা বুঝে এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে এ বিষয়ে কিছু করতে (হজ নীতিমালা পরিবর্তন করে ফের রিপ্লেসের সুযোগ দেয়া) হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের (প্রধানমন্ত্রী) সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাবেন। গত ১৪ জুলাই থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: