-2018-07-27-17-24-40.jpeg)
মুসলিমদের বংশানুক্রমিক ধারা ভেঙে দিতে জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে করছে চীনা পুরুষরা। যুদ্ধে ধর্ষণের মতো মূলত জাতিগত নিধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমনটা করা হচ্ছে।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের এমনই একটি বিয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুক ভিত্তিক উইঘুর স্বার্থসংশ্লিষ্ট গ্রুপ ‘টক টু ইস্ট তুর্কিস্তান’ জোরপূর্বক বিয়ের এ দাবি করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানের একজন আয়োজক চীনা পাত্রকে জিজ্ঞেস করছেন- কতদিন যাবৎ তিনি পাত্রীকে চেনেন। জবাবে পাত্র বলেন, তিনি দুই মাস যাবৎ পাত্রীর সঙ্গে পরিচিত। অন্যদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উইঘুর ওই মুসলিম পাত্রী ছিলেন দুঃখ ভারাক্রান্ত ও বিমর্ষ।
ভিডিও আপলোডকারী জানান, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম-বিরোধী বিভিন্ন চীনা অপতৎপরতার অংশ হিসেবে উইঘুর নারীদের জোর করে চীনা পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটি তার একটি উদাহরণ মাত্র।
ভিডিও ক্যাপশনে বলা হয়, উইঘুর পুরুষদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আটকে রেখে চীন উইঘুর নারীদের বাধ্য করছে চীনা পুরুষদের বিয়ে করতে। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। দর্শকরা এঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
‘টক টু ইস্ট তুর্কিস্তান’ গ্রুপটির মতে, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবেই এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: