ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

ফিস্টুলা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির আহ্বান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৮ ২৩:৩১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৮ ২৩:৩১

ফিস্টুলা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, নারী ফিস্টুলা রোগীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে চান না। এই রোগের কথা জানলে পরিবার ও সমাজ তাদের অবহেলা করবে বলে অনেক যন্ত্রণা নিয়েও তারা রোগটি গোপন রাখতে চান।
আজ রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ ‘মিডিয়া লিডারস্ ওয়ার্কশপ অন ফিস্টুলা কমিউনিকেশন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ফিস্টুলা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ফিস্টুলা সেন্টারের আয়োজনে পিআইবি, এনজেল্ডার হেলথ-এর ফিস্টুলা কেয়ার প্লাস প্রকল্প ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী একেএম মহিউল ইসলাম। এতে আইএসওএফএস’র এশিয়ান রিপ্রেজেনটেটিভ প্রফেসর ডা. সায়েবা আক্তার, পিআইবি’র পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও বিধান চন্দ্র কর্মকার এবং ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ফিস্টুলা নারী স্বাস্থ্যের একটি মারাত্মক সমস্যা। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত। জাতিসংঘের আহ্বান অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূল করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা এ লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই রোগ নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় বলা হয়, মূলত বাধাগ্রস্ত প্রসব বা বিলম্বিত প্রসব থেকে প্রসবজনিত ফিস্টুলার সৃষ্টি হয়। ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীদের সবসময় সন্তান প্রসবের রাস্তা দিয়ে মল-মূত্র নির্গত হয়ে থাকে।
এনজেন্ডার হেলথ বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম অফিসার নিত্য নন্দ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ফিস্টুলা কেয়ার প্লাস প্রজেক্টের কান্ট্রি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. শেখ নাজমুল হুদা, পিআইবি’র সিনিয়র প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান, ডা. ইশরাত জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: