odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 7th December 2025, ৭th December ২০২৫
গনমাধ্যম ও পুলিশের সহযোগিতার বিরল দৃষ্টান্ত

নবজাতক "দৃষ্টান্ত "পাবে মা, বাবা ডাকার অধিকার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৬ September ২০১৮ ০২:৪২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৬ September ২০১৮ ০২:৪২

পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় কুমিল্লার একটি হাসপাতালে সন্তান রেখে চলে যাওয়া মা রোকেয়াকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সন্তানের কাছে। গত ১৮ আগষ্ট জন্ম নেয়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের শাহআলম- রোকেয়া দম্পত্তির ঘরে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। সাড়ে ৬মাসে ডেলিভারি এবং ৭০০গ্রাম ওজনের প্রিম্যাচিউর বেবির জীবন সংকটাপন্ন হওয়ায় ভর্তি করা হয় কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালে। ৭দিন চিকিৎসার পর ২৪ আগষ্ট শিশুটিকে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে হাসপাতাল থেকে চলে যায় শিশুটির দরিদ্র বাবা-মা। এমন অবস্থায় শিশুটির ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পর পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা থেকে শিশুটির মা রোকেয়া বেগমকে নিয়ে আসা হয় নবজাতক শিশুটির কাছে।

রোকেয়া বেগম জানান, তার দুটি সন্তান জন্মের পর মারা যায়। এই শিশুটির চিকিৎসায় অনেক টাকা বিল আসায় তারা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। তার স্বামী একজন দিনমজুর। হাসপাতাল থেকে বাড়ি গিয়ে স্বামী শাহআলমও নিরুদ্দেশ। এমন অবস্থায় পুলিশের সহযোগিতায় সে তার সন্তানকে ফিরে পেয়েছে। শিশুটির জন্য সবার দোয়া চাইলেন রোকেয়া।

বুধবার দুপুরে নবজাতকের কাছে মা রোকেয়া বেগমকে নিয়ে আসেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান।

পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমরা বাচ্চাটির নাম দিচ্ছি ‘দৃষ্টান্ত’। সকলে মিলে আমরা শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় বহন করবো এবং এটা নিয়ে তার মাকে আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না।

জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, আমরা বিত্তবানদের নিকট আহ্বান করবো যেন শিশুটির চিকিৎসায় তাদের দরিদ্র পিতা মাতার পাশে এসে দাড়ায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার এ ঘটনা অবশ্যই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এদিকে শিশুটির চিকিৎসায় বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় আজ পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে শুধু অক্সিজেন এবং দেশের বাইরে থেকে আনা কিছু ওষুধের দাম নেয়া হবে শিশুটির চিকিৎসায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: