
অভিষেকের অপেক্ষায় সাদমান ইসলাম। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৬.৫০ গড় নিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান। আগামীকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে যদি অভিষেক হয়েই যায় তবে শেষ ১১ টেস্টে ৯টি নতুন ওপেনিং জুটি দেখবে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে ওপেনিং করেছিলেন সৌম্য সরকার আর ইমরুল কায়েস। এই ম্যাচে ইমরুল থাকলেও শেষ টেস্টে বাদ পড়েছেন চোটে পড়ে। তাই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সাদমানকে ঘিরে।
বাংলাদেশ দলে ঘন-ঘন অভিষেক হওয়া আবার দল থেকে ঝরে পড়া যেন স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলনেতা সাকিব আল হাসান ব্যাপারটাকে ইতিবাচক, নেতিবাচক দুভাবেই দেখছেন।
'আমি সবসময় প্রেফার করি একজন খেলোয়াড়ের যখন অভিষেক হয় কিংবা তাঁকে যখন খেলানো হয়, তাকে যেন যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়, যেন সে তার পটেনশিয়াল, ট্যালেন্ট প্রমাণ করতে পারে। যদি তারপরও সে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারে, তারপরেই তাকে পরিবর্তন করা উচিত। ঘন ঘন পরিবর্তনের পক্ষে আমিও না। আমিও মনে করি না এটা কোনও ভালো মেসেজ দেয়। দিন শেষে আমরা সবসময় চাই ম্যাচগুলো জিততে। ম্যাচ জেতার জন্যই অনেক সময় অনেক ডিসিশন নিতে হয়।'
আগামীকাল সাদমান খেললে আরেকজন নতুন খেলোয়াড় পাবে বাংলাদেশ দল। ঘরোয়া লিগে ২০১৪ তে অভিষেক হবার পর থেকেই সাদমান রান করছেন নিয়মিত। টেস্ট অধিনায়কও সাদমানকে ঘিরে দেখছেন সম্ভাবনা।
'সাদমান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এক্সাইটিং প্রসপেক্ট। অর খেলার ধরন আমি যতটুক দেখেছি এবং শুনেছি, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে খুব মানানসই। ও যদি সুযোগ পায় আমি আশা করবো সে যেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।'
আগামীকাল শেষ টেস্টে সাদমানের অভিষেক যদি নাও হয় তবে নিশ্চিতভাবে পরিবর্তন আসছে ওপেনিং জুটিতে। গতকাল বুধবার অনুশীলন করার সময় আঙুলে চোট পাওয়ায় দলে যোগ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাদ পড়া আরেক ওপেনার লিটন দাসের নাম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: