ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

শহীদ মিনারে নির্মাতা আমজাদ হোসেনের প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:২১

বাংলাদেশের কিংবদন্তি নির্মাতা, অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, গীতিকার আমজাদ হোসেনের প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শনিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেয়া হয়।

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, লায়রা হাসান, মামুনুর রশীদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, ফকির আলমগীর, মোরশেদুল ইসলাম, কেরামত মাওলা, সালাউদ্দিন লাভলু, রোকেয়া প্রাচী, জাসাস-এর সাধারন সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান।

এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলা একাডেমি, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা হবে। সেখান থেকে নেয়া হবে এটিএন বাংলায়। সেখানে আরেকটি জানাজার পর বাদ জোহর এফডিসিতে নেয়ার পর জানাজা শেষে চ্যানেল আইতে নেয়া হবে।

সেখান থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি জামালপুরে নেয়া হবে। সেখানে শেষবারের মতো জানাজা শেষে তার বাবা নুরউদ্দিন সরকারের কবরে সমাহিত করা হবে। আমজাদ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে মারা যান আমজাদ হোসেন। বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসার বকেয়া বিলসহ মরদেহ দেশে আনতে সময় লেগে যায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় আমজাদ হেসেনের মরদেহবাহী বিমান।

আদাবরে আমজাদ হোসেনের নিজ বাসায় আত্মীয় স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন। রাতেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদে। এরপর মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে।

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তীতে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) ছবিগুলো নির্মাণ করেন।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া জাতীয়ভাবে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন এই বরেণ্য নির্মাতা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: