ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সিরাজদিখানে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করেই ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলছে,

সিরাজদিখানে হাজারো মানুষের ভোগান্তি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯ ১৬:৪০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯ ১৬:৪০

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বাসাইল গ্রামে মানুষ চলাচলের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করেই ব্রীজের কাজ করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ওই এলাকার স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ। এমনকি ওই ব্রীজের কাজ ধীর গতিতে চলছে এবং নি¤œ মানের বালু ও অর্ধজমানো সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমাদের এই ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বর্তমানে ব্রীজের কাজ ধরা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের যাতায়েতের বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা না করে দিয়েই ব্রীজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং তারা ব্রীজের কাজ করছে ধীর গতীতে। বাসাইল ব্রীজটি তিন বছর পূর্বে বালু বাহী ট্রলালের ধাক্কায় ভেঙে গেলে প্রায় মাসাধীক সময় ধরে ব্রীজটির নতুন করে নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর ধরে ওই এলাকার হাজারো মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। বর্তমানে ব্রীজটি নির্মাণের কাজ শুরু করলেও মানুষ চলাচলের কোন বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয় যুবক তুষার খান জানান, আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ ব্রীজটি ভাঙা থাকার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ব্রীজটির নতুন করে কাজ শুরু করলেও তারা আমাদের চলাচলের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা করে দেননি। আমাদের এলাকায় কোন এম্বুলেন্স ঢুকতে না পারায় আমরা রোগীকে সময়মত হাসপাতালে নিতে পারি না। মোটর সাইকেলটা পর্যন্ত বাড়ীতে নিয়ে রাখতে পারি না একমাত্র বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে। সামনে বৃষ্টি বাদলের দিন। সে সময় আমাদের চলাচলে আরো ভোগান্তি হবে। কর্তৃপক্ষ কেন বিকল্প কোন রাস্তা না করে দিয়ে তারা ব্রীজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এটা আমার জানা নেই। এছাড়া আমাদের এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, কিন্ডার গার্টেনের ছাত্রছাত্রীদেরও যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সাবেক বাসাইল ইউনিয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সামসুজ্জামান পনির জানান, প্রতিটি ব্রীজ নির্মাণের সাথে সাথে বিকল্প রাস্তা করে দেওয়ার নিয়ম ও বরাদ্দ থাকে। কিন্তু কেন তারা বিকল্প কোন রাস্তা না করে দিয়ে নির্মাণ কাজ করছে এটা আমার জানা নেই। কর্তৃপক্ষ যদি বিকল্প কোন রাস্তা করে দিতো তাহলে আমার এলাকার হাজারো মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বীন আজাদ জানান, বিকল্প রাস্তার জন্য কোন বরাদ্দ না থাকায় সমস্য হয়েছে। তার পরেও আড়াই থেকে তিন ফুটের বিকল্প একটি রাস্তা করা হয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণ হয়ে গেলে সমস্যার সমাধান হবে।

 





আপনার মূল্যবান মতামত দিন: