ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি

সিরাজদিখানে আবারো বেপোরোয়া ইজি বাইক, প্রশাসন নিরব

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৩৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৩৪

 সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আবারো বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে অবৈধ ইজি বাইক চলাচল। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নেই রয়েছে এই ইজিবাইকের বেপোরোয়া চলাচল। রাস্তার মাঝেখানে গাড়ী ঘুরানো, যত্রতত্র পার্কিং ও অদক্ষ চালকেদের বেপরোয়া গাড়ী চালানোর কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীসহ হাজারো মানুষ। এছাড়া যানযটের বিশেষ কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই ইজি বাইক। কোন প্রশিক্ষন ছাড়াই এবং রাস্তার নিয়মনীতি না জেনেই গাড়ী চালানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জরুরী কাজে নিয়োজীত সরকারী, বেসরকারী, যাত্রীবাহী গাড়ীসহ রোগীবাহী এম্বুলেন্স সঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারছেন না। এমনকি এই ইজি বাইকের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই বললেই চলে।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার নিমতলা বাসষ্ট্যান্ড, উপজেলা মোড়, সিরাজদিখান পাঁচপীর মাঝার মোড়, সিরাজদিখান থানার মোড়, গোয়ালবাড়ী মোড়, ইছাপুরা বাসষ্ট্যান্ড, মালখানগর চৌরাস্তা, বালুরচর বাজার রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্টগুলোতে অবৈধ ইজি বাইকের বেপোয়ারা গাড়ী চালানোর কান্ড চোখে পড়ার মত। প্রতিটি পয়েন্টেই ইজিবাইক সিরিয়াল এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ২/৩ জনকে দ্বায়ীত্ব পালন করতে দেখা গেলেও তারা দ্বায়ীত্বে অবহেলা ও চাঁদা আদায় করে যত্রতত্র পার্কিং ও বেপোরোয়া গতীর গাড়ীকে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করাতে ব্যর্থ হন। তারা প্রতিটি ইজিবাইকের চালকদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন বলেও বেশ কয়েকজন ইজি বাইক চালক জানান। এমনকি থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় লক্ষ করা যায়,

ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ইজি বাইক চালকদের জরিমানা করে ছেড়ে দেন। যার ফলে রাস্তার যানযট, বেপোরোয়া গতিতে গাড়ী চালানোর মত কান্ডসহ যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শিকার হয়েই যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত আইন শৃঙ্খলা সভায় যানযট নিরসনের লক্ষ্যে প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বহুবার এবিষয়ে কথা উঠালেও বাস্তবে রূপ নেইনি কোনটাই। অবৈধ ইজিবাইক বৈদ্যুতিক চার্জে চলার কারণে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে তুলনামূলক ভাবে দ্বিগুন।

উল্লেখ্য সম্পতি কয়েকমাসের অন্তরস্থ ইজি বাইক দূর্ঘটনায় উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের ১ জন, মোল্লাকান্দি বালুরচর গ্রামে ২ জন, নতুন ভাষানচর গ্রামের ১জন, রামানন্দন গ্রামের ১জন, লতব্দী গ্রামের ১জন মারা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ইজিবাইক চালক জানান, আমাদের কাছ থেকে যে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে সেগুলো লাইনম্যনরা নিয়ে থানায় কিছু দেন এবং তারা কিছু রাখেন।

সিরাজদিখান উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিনাত ফৌজিয়া জানান, ইজি বাইক বা অটো রিক্সার কোন নীতিমালা নেই। তারপরও আমি এখানে যোগদান করার পর একশ’রও বেশী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি ইজি বাইকের উপর। প্রতি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েই এবিষয়ে কথা বলি এবং ইজি বাইক চালক সমিতির লোকজন ডেকে এনে তাদেরকে সঠিক নিয়মে ইজিবাই চালাতে পরামর্শ দিয়েছি। মানবিক কারণে একেবারে বন্ধ করে দিতেও পারছি না। আমাদের যতটুকু করা সম্ভব তা আমরা করে যাচ্ছি।

 





আপনার মূল্যবান মতামত দিন: