
মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানে খাদ্য
অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হত দরিদ্রদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর
আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্য শস্য বিতরণ করা হয়। সারা দেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জ
জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে স্বল্পমূল্যে চাউল বিতরণ
করা হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণে বিপাকে রয়েছে ডিলাররা,
প্রতি বস্তায় গোড়া থেকেই চাউল কম আসার অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল সোমবার উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে
আনোয়ার ট্রেডার্স থেকে সু-শৃঙ্খল ভাবে চাউল বিতরণ করতে দেখা
গেছে। মাসের নির্দিষ্ট সময়ে তিন দিন রবি, সোম ও মঙ্গলবার সকাল ৯
টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কার্ডধারিদের নিকট চাউল বিতরণ করা
হয়। এলাকার মসজিদে মাইকিং করে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিটি ইউনিয়নে ৬শত ৪৪ জন, মাসে ১ বার প্রতিজনে ৩০ কেজি
করে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল পাচ্ছেন এবং বছরে ৫ মাস এই চাউল
বিতরণ করা হয়। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিতরণের পর চলতি মাসের ১৫
তারিখ থেকে বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত চলতি
মাসসহ তিন মাস চাউল বিতরণ করা হবে।
মালখানগর ইউনিয়ন আনোয়ার ট্রেডার্সের স্বত্ত¡াধীকারি ডিলার মো.
আনোয়ার হোসেন জানান, লাভ বা ব্যবসার চিন্তা করে এ কাজ করছি
না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে,
মানুষের কল্যাণে নৈতিক দায়িত্ব বোধ থেকে চাউল বিতরণের দায়িত্ব
নিয়েছি। এই ইউনিয়নে ৬৪৪ জনকে প্রতি মাসে কার্ড প্রতি ৩০
কেজি করে ১০ টাকা দরে চাউল বিতরণ করা হয়। আমি ৩২২ জনকে দেই।
আরেকটি ডিলার আছেন বাড়ৈপাড়া গ্রামে কাঞ্চন মীর তিনিও ৩২২
জনকে দেন। তবে দুঃখের বিষয় বস্তায় কিছু চাউল কম হয়। এই সমস্যাটা
পূরণে আমাদের ভতুর্কিতে পরতে হয়। কয়েকজন লোক খাটে তাদের বেতন
অনেক সময় পকেট থেকে দিতে হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহারের নিকট জানতে
চাইলে তিনি বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর এমনটা কেউ
জানায়নি। আপনার কাছ থেকেই জানলাম। চাউল কম আসার তো কথা না।
প্রত্যেক ইউনিয়নে মনিটরিংএ আমার একজন করে অফিসার আছেন,
তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে বিষয়টি দেখব। #
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: