
ঢাকা: বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলা-কুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন এফটিপিও (ফেডারেশন অভ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস)-এর সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান। তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, সচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম এবং এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদসহ প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির ডিটিএইচ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশি কোনো ডিটিএইচ কোম্পানিকে এখানে ডিটিএইচ যন্ত্র বসিয়ে সম্প্রচারের অনুমোদন দেয়া হয়নি। সুতরাং বিদেশি যে সমস্ত ডিটিএইচ যারা ব্যবহার করছেন বা যাদের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন, পুরোটাই অবৈধ।’
‘বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গা লাগানো হয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেয়া হয়। কোম্পানি তো বিদেশি, মাসে মাসে নেয়া কঠিন, এজন্য এক বছরের টাকা নিয়ে সেগুলো আবার হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেয়া যায় না, এটি সমীচিন নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। সমস্ত অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ যন্ত্র ব্যবহার এর মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। ক্যাবল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে, একইভাবে ১৫ ডিসেম্বরের পরে অবৈধ বিদেশি ডিটিএইচ কেউ যদি ব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ সভায় বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি গঠন, এধরনের সিরিয়াল অফ-পিক আওয়ারে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেন। ‘দেশের ৮০ শতাংশ বিয়ে ভাঙার জন্য বিদেশি সিরিয়ালের পরকীয়া, হিংসা-দ্বেষমূলক কাহিনী দায়ী’, বলেন তিনি।
এফটিপিও প্রতিনিধিদের মধ্যে ডিরেক্টর’স গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সভাপতি মুনতাসির মামুন সাজু মতবিনিময়ে অংশ নেন।
###
দোষিদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি, ঘোলা পানিতে মাছশিকারের অপচেষ্টার সফল হবেনা-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা: বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকান্ডে দোষিদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি হবে। একইসাথে এ মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছশিকারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, কলা-কুশলী, নাট্যকার, অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সম্মিলিত সংগঠন এফটিপিও (ফেডারেশন অভ টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস)-এর সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, সচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম এবং এফটিপিও আহ্বায়ক মামুনুর রশীদসহ প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত এ হত্যাকান্ড প্রচন্ড ন্যাক্কারজনক, অনভিপ্রেত। আমরা প্রথম থেকেই এটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুরুতেই কেউ দাবি তোলার আগেই সন্দেহভাজন সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং যারা এই ঘটনায় দোষি সাব্যস্ত হবে তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সেজন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’
‘দেশে অবশ্যই ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নমত ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিন্নমত থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। সমালোচনার জবাব সমালোচনার মাধ্যমে হয়। ভিন্নমতের জবাব নিজের মত প্রকাশের মাধ্যমে হয়। ভিন্নমতের জবাব কোনোভাবেই আক্রমণ করে হতে পারে না। এটি আমাদের সরকার সমর্থন করে না, আমাদের দলও সমর্থন করে না। এজন্য এটির সাথে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, ইতিমধ্যে ছাত্রলীগ তাদের বহিস্কার করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সেজন্য সরকার বদ্ধপরিকর।’
হত্যাকান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি দেশে কোনো ঘটনা ঘটলে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। এখনও সেই চেষ্টা হচ্ছে। কেউ এই ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে সেটি হতে দেয়া যাবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সঠিক তথ্য প্রচার করবে এবং এই ঘটনার নিন্দাও হবে, নিন্দা হওয়া উচিত। কিন্তু এই ঘটনাকে পুঁজি করে অপপ্রচার করা কোনোভাবেই সমীচিন নয়। অতীতেও যারা এভাবে অপপ্রচার করেছে, এ ধরণের কিছু ছড়িয়েছে সেটির বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও কেউ যদি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় সে চেষ্টা সফল হবে না।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: