ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮

Admin 1
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮

দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি চক্রের হোতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ সংঘবদ্ধ চক্রের চার সদস্যকে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় ওই চক্রের হাতে অপহৃত এক শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলে র‌্যাব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

র‌্যাব-১২-এর তিন নম্বর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে পরীক্ষা দিয়ে ছাত্র ভর্তির কাজ করে আসছে। ভর্তির পর কোনো প্রার্থী চুক্তি মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে তাঁদের অপহরণ করে মুক্তিপণের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খিলগাতী গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সালেহ সৌরভ দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ওই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি ওই চক্রের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগও পান। কিন্তু সৌরভ ভালো বিষয়ে সুযোগ না পাওয়ায় ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানান। চুক্তি মোতাবেক চার লাখ টাকা দিতে না পারায় জালিয়াতি চক্র ১৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল শহর থেকে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি সৌরভের বাবা জানতে পেরে র‌্যাবকে জানান। র‌্যাব অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে ও সৌরভকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করে।

র‍্যাব জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার নিউমার্কেট থানা এলাকার নীলক্ষেত থেকে মুক্তিপণ নেওয়ার সময় ভর্তি জালিয়াতি চক্রের অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে ও অপহৃত সৌরভকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন নোয়াখালীর সুধারাম থানার এওজবালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আনোয়ার হোসেন ওরফে রোকন (২৬), একই উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ওরফে রুবেল (২৭), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাটালিয়াআটা গ্রামের আক্তারুজ্জামান ওরফে খোকন (২১) এবং একই উপজেলার শ্যামলী মাস্টারপাড়ার জাকারিয়া সরকার (২২)।

র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রথমে তাঁরা মূল মার্কশিট, সার্টিফিকেট ও প্রবেশপত্রের মূল কপি নিয়ে নেন। এরপর ফরম পূরণের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সংগ্রহ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নেন। পরে ফটোশপের মাধ্যমে প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করে একজন মেধাবী ছাত্র দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান। এর বিনিময়ে ছাত্রদের কাছ থেকে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বছর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চক্রের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম র‌্যাবকে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: