ঢাকা | সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৩

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন মারা গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) মঙ্গলবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট লেখক মফিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তার বয়স হয়েছিল মৃত্যুকালে ৭৬ বছর। তিনি রক্তের জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল দুই সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।

রবিউল হুসাইন ১৯৪৩ সালে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় জন্মগ্রহণ করেন। কুষ্টিয়া শহরে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষে বুয়েট থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

স্থপতি হওয়ার পাশাপাশি ষাটের দশক থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা ছাড়াও ষাটের দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রবণ ছোট কাগজে লেখালেখি করতেন। কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও শিশুতোষসহ গোটা পঁচিশেক বইয়ের লেখক তিনি। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পাওয়া এই কবি কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্যও।

তার উল্লেখযোগ্য বই হলো- ‘আরও ঊনত্রিশটি চাঁদ’, ‘কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে’, ‘স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট’, ‘কর্পূরের ডানাঅলা পাখি’,  ‘বিষুবরেখা’, ‘দুর্দান্ত’, ‘অমনিবাস’, ‘আমগ্ন কাটাকুটি খেলা’, ‘কবিতাপুঞ্জ’, ‘স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা’, ‘যে নদী রাত্রির’, ‘এইসব নীল অপমান’, ‘অপ্রয়োজনীয় প্রবন্ধ’, ‘দুরন্ত কিশোর’, ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘গল্পগাথা’, ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়াগুলি’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, জাতীয় কবিতা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কচি কাঁচার মেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ইত্যাদি সংস্থায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন রবিউল হুসাইন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: