odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 4th November 2025, ৪th November ২০২৫

৫টি সাধারণ ধারণা যা আপনার শিশুর বিকাশ ব্যাহত করে

Admin 1 | প্রকাশিত: ৫ May ২০১৭ ২১:০২

Admin 1
প্রকাশিত: ৫ May ২০১৭ ২১:০২

ধারণা ১: প্রায়শই আমার শিশু অসুস্থ হয়ে পড়া রোধ করার জন্য আমি কিছুই করতে পারি না।

বাস্তবে: আপনার শিশুকে এমন খাদ্য দেবেন যাতে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও তার দেহ ইনফেকশন ও অসুস্থতার মোকাবিলা করতে পারে। শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার মাধ্যমে আপনি তাকে আরও প্রতিরোধক্ষম করে তুলে তার অসুস্থতার প্রবণতাকে কমাতে পারেন।

 

 

ধারণা ২: আমার শিশু খাওয়ার বিষয়ে খুঁতখুঁতে। আমার কিছুই করার নেই।

বাস্তবে: খাওয়ার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে স্বভাব ডাক্তারি দিক দিয়ে কোনওভাবেই ভাল নয়। এই কারণে আপনার শিশুর পুষ্টির অভাব হতে পারে। ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ঠিকমতো খাদ্যাভ্যাস করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুর বৃদ্ধিতে এই বয়স খুবই জরুরি।

ধারণা ৩: শিশুর বেড়ে ওঠায় নজর রাখা জরুরি নয়।

বাস্তবে: শিশুর বৃদ্ধির প্রতি দৃষ্টি রাখলে পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয় করা যায়। যেগুলো সাধারণত আমাদের নজরে পড়ে না। এমনকি শিশু অসুস্থ না হলেও এইভাবে অনেক সমস্যা বোঝা যায়। গ্রোথ চার্টে শিশুর উচ্চতা ও ওজন লিখে রাখলে কমপক্ষে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুর বিকাশ ও উন্নয়নের বিষয়টা নজরে রাখা সম্ভব।

ধারণা ৪: আমার শিশুর পক্ষে সমস্ত ফ্যাট অস্বাস্থ্যকর।

বাস্তবে: ফ্যাট হল শিশুর শক্তির জমে থাকা উত্স এবং প্রাথমিক বছরগুলোয় শিশুর বিকাশে যা খুবই আবশ্যক। প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর ব্রেনের বিকাশে সহায়তা করে। অবশ্য জাঙ্ক ফুড ইত্যাদির মতো খাদ্য থেকে যে অতিরিক্ত ফ্যাট আসে তা স্থূলত্ব বাড়িয়ে তোলে।

ধারণা ৫: আমি বেঁটে, তাই আমার সন্তানও বেঁটে হবে।

বাস্তবে: শিশুর উচ্চতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স প্রধান বিষয় হলেও পুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার শিশুকে পরিপূর্ণ বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করুন তাকে সুষম ও সম্পূর্ণ পুষ্টিদায়ক খাবার দিয়ে।

এই চারটি উপায় অবলম্বন করে আপনার শিশুকে বাড়তে সাহায্য করুন
আপনার শিশুকে বেড়ে উঠতে দেখুন:
শিশুর প্রথম ৬ বছর তার বেড়ে ওঠার পক্ষে খুব জরুরি। এই জরুরি পর্যায়ে আপনার শিশুর নিয়মিত বেড়ে ওঠার ওপর সঠিক নজর রেখে তাকে সাহায্য করুন।

উত্তম পুষ্টি: সুষম আহারের মধ্যে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যা আবশ্যক পরিমাণে প্রয়োজন। প্রতিটি পুষ্টিকর পুষ্টিদায়ক উপাদানে আছে শিশুদের উন্নতি ও সার্বিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

 ভাল খাদ্যাভ্যাস: উত্তম খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে খাওয়াদাওয়া করার নির্দিষ্ট সময়, সঠিকভাবে খাবার চিনিয়ে দেওয়া, বয়স উপযোগী খাওয়া দাওয়া যাতে আপনার শিশুর খেতে কোনও অসুবিধে না হয় এবং খাওয়ার সময়টা উপভোগ্য হয়। 

পুষ্টি সংক্রান্ত সমর্থন: আপনার খুঁতখুঁতে শিশুকে সঠিক পথে আনতে চাই পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ ও দৈনিক সম্পূর্ণ সুষম পুষ্টিদায়ক সহায়তাজনক খাবার দু'বার। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: