odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 11th December 2025, ১১th December ২০২৫

সেই নারীর সঙ্গে সেদিন যা ঘটেছিল

 নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৫ April ২০২২ ২০:১৩

 নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ April ২০২২ ২০:১৩

ঢাকার সড়কে কলেজ শিক্ষিকাকে উদ্দেশ্য করে ‘টিপ পরছস কেন’ বলে হেনস্তা করেছিলেন পুলিশের পোশাক পরা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, ‘তাকে এতো অশ্নীলভাবে গালিগালাজ করা হয়েছিল, সেই ভাষা তিনি স্বামীর কাছে প্রকাশ করতে ব্রিবত হবেন।’

সেই ঘটনায় শিক্ষিকা থানায় অভিযোগও করেছিলেন। পুলিশও হেনস্তাকারী ব্যক্তিকে খুঁজছিল। তাকে শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত তদন্তের সঙ্গে ম্যানুয়ালি তদন্তে দিন-রাত সমান করেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। প্রকাশ্যে রাজধানীর সড়কে কর্মজীবী নারীর সঙ্গে এমন বাজে আচরণে শুরু হয় আন্দোলন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে সমালোচনার ঝড়।

পুলিশ সূত্র জানায়, প্রটেকশন বিভাগে দায়িত্বরত নাজমুল সচিবালয় থেকে কার্জন হলের পূর্ব গেট পর্যন্ত ভিআইপি মুভমেন্টের সময় দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার শিক্ষিকার সঙ্গে বাজে আচরণ করার পর রোববারও তিনি ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত শনিবার সকালে তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তার অভিযোগ, তিনি ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে গেলে পুলিশের পোশাক পরা মধ্যবয়সী এক লোক তার কপালের টিপ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ জানালে ‘টিপ পরসিছ কেন’ বলে অশ্নীল ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তার ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে প্রাণনাশেরও চেষ্টা চালানো হয়। ওইদিনই তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় তিনি ঘটনা জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

অবশ্য শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল নিজ বাহিনীর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, ‘ঘটনার দিন সকালে স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গায়ে পা লাগা নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক নারী পথচারীর ঝগড়া হয়।’

লতা সমাদ্দার বলেন, ‘পুলিশ সদস্য তাকে গালাগাল করার সময়ে, টিপ পরা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময়ে তিনি কঠোর প্রতিবাদ করেছেন। আশপাশের লোকজন তা পাশ থেকে দেখেছেন। একপর্যায়ে পুলিশের ওই সদস্য নিজের মোটরসাইকেলে একা চলে যেতে চাইলে তিনি সেটি টেনে ধরলে পুলিশ সদস্য পড়ে যান। তখন তো তার স্ত্রী বা কোনো নারীকে সেখানে দেখিনি। ঘটনা ঘটিয়ে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: