ঢাকা | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
কানাডার হাই কমিশনার-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক

ভোজ্যতেল ক্যানোলা কারখানা দেশে স্থাপনের আহবান বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২ ০৭:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২ ০৭:৫৭

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, কানাডা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। কানাডার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কানাডা বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানির বড় বাজার। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিপুল পরিমান ভোজ্য তেল আমদানি করে থাকে। কানাডায় প্রচুর ক্যানোলা উৎপাদন হয়, স্বাস্থ্যসম্মত ভোজ্য তেল কানোলা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হতে পারে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কানাডা ক্যানোলা ভোজ্য তেল ফ্যাক্টরি স্থাপন করে উৎপাদন করলে বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে পার্শবর্তী দেশে রপ্তানি করে লাভবান হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, বেশ কয়েকটির কাজ শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কানাডা লাভবান হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল পরিমান আলু উৎপাদন হয়, এগুলো রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের কৃষি পণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণার কাজে কানাডা সহায়তা করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়ে কানাডায় রপ্তানি করেছে ১,০৭০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ কানাডা থেকে আমদানি করেছে ৪২৮.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য। কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১১ মে ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার ড. লিলি নিকোলস (উৎ. খরখর ঘরপযড়ষষং) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এ সব কথা বলেন।

কানাডার হাই কমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। কানাডায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কানাডার ক্যানোলা ভোজ্য তেল বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমানে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের গভঃ টু গভঃ (জিটুজি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর মাধ্যমে আমদানি করতে পারে। এ বিষয়ে কানাডা সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। তিনি বাংলাদেশে তৈরী পোশাকের প্রশংসা করে বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পাস্পরিক দেশ সফর করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের সামর্থ রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পোশাক তৈরী ও রপ্তানি করছে। ইউএস গ্রীণ বিল্ডিং কাউন্সিল বিশে^র ১৫৭টি ফ্যাক্টরিকে লিড গ্রীণ ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট দিয়েছে, এর মধ্যে প্রথম ১০টির মধ্যে ৯টিই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) নুসরাত জাবীন বানু উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: