ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমের খোসার যত গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২ ০৯:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২ ০৯:৫৮

আমের কদর সর্বত্র। হোক সে কাঁচা কিংবা পাকা। তবে আমের জনপ্রিয়তা কেবলমাত্র স্বাদের দিক থেকেই নয়, এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতাও। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর আম। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফলটি বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে।

তবে কেবল আমই নয়, আমের খোসাও কিন্তু স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর! তবে এ কথা খুব কম মানুষই জানে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : আমের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি কতটা কার্যকরী, তা আমরা সবাই জানি।

হার্ট ভাল রাখে : হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে আমের খোসা দারুণ কার্যকরী একটি ফল। গবেষণায় অনুযায়ী, আমের খোসা ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক্সের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে স্থূলতা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিসলিপিডেমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমায় : আমের খোসায় পেকটিন ফাইবারও পাওয়া। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।

বেশি আম খেলে হতে পারে বিপদ : আমের খোসা, বিশেষ করে পাকা আম ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে এই ভিটামিন খুবই কার্যকর। ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ এবং প্রদাহও দূর করে। এছাড়াও, আমের খোসা চুলের বৃদ্ধি এবং স্ক্যাল্প ভাল রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : আমের খোসায় রয়েছে ম্যাংগিফেরিন, নরাথাইরল, রেসভেরাট্রল নামের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এসব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, স্তন, মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জুর ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া আমের খোসায় উপস্থিত ট্রাইটেরপেনেস ও ট্রাইটেরপনয়েডস উদ্ভিজ্জ যৌগও ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : আমের খোসায় রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যেও রয়েছে। যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি থেকেও বাঁচায়। পাশাপাশি আম শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।

পরিপাকে সাহায্য করে : আমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। আর আমাদের খাদ্য হজম ও সুষ্ঠু পরিপাকের জন্য ফাইবারের কোনো বিকল্প নেই। যাদের হজমে সমস্যা হয়, তাদের জন্য আমের খোসা ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: